কাশ্মীর থেকে অনেক দূরে মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে এক জনসভা। সেখানেই কাশ্মীরে এক মেসেরও বেশি সময় ধরে চলা অশান্তি নিয়ে মুখ খুললেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৮ জুলাই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তরুণ বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত উপত্যকা। হাজারে হাজারে মানুষ কার্ফু উপেক্ষা করে পথে নেমে পাথর ছুঁড়ছেন নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের দিকে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি দিল্লিতে গিয়ে কাশ্মীরিদের ক্ষতে মলম লাগানোর আহ্বান রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। আশা প্রকাশ করেছিলেন বাজপেয়ি যেমন মানবিকতা নিয়ে কাশ্মীরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তেমনই করবেন মোদি।
ঠিক পরেরদিনই মুখ খুললেন মোদি। বললেন, ‘ভারতবাসী যে স্বাধীনতা ভোগ করেন তা কাশ্মীরিরাও অনুভব করতে পারেন’। ‘উন্নয়ন দিয়েই সব সমস্যার হতে পারে’। ‘বাজপেয়িজি চেয়েছিলেন মানবিকতা, কাশ্মীরিয়ৎ ও গণতন্ত্রের পথে কাশ্মীর এগিয়ে যাক, আমরাও তাই চাই’। কাশ্মীরের প্রতি বাকি ভারতের ভালবাসায় কোনও খামতি নেই বলেও এদিন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘যে বয়সে হাতে ল্যাপটপ, বই, ব্যাট-বল থাকার কথা, সেই বয়সের ছেলেরা হাতে পাথর তুলে নিচ্ছে দেখে আমার দুঃখ হয়’।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এদিন কংগ্রেসকেও ধন্যবাদ জানান মোদি।
একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অশান্তিতে কাশ্মীরে এ পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১০০ জন আন্দোলনকারী অন্ধ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৫০০০ যার মধ্যে ৩০০০ নিরাপত্তা কর্মী।
PM @narendramodi appeals for peace in Kashmir.https://t.co/VWgaSeKs1k
— BJP (@BJP4India) August 9, 2016
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।