ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে আঘাত হানার পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তবে তার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। সূত্রটি জানিয়েছে, বায়ুসেনার হাতে নিজেদের দাবির স্বপক্ষে “বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ” রয়েছে। মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে সফল হয়েছে, সে বিষয়েই যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
ঘটনার পর থেকেই ঘরে-বাইরে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমত, পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়, ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তার পরই অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার বেশ কয়েকটি ল্যাব স্যাটেলাইট মারফত তোলা হাই-রেজুলেশনের ছবিকে সামনে রেখে দাবি করে, জইশের প্রশিক্ষণ শিবির অক্ষতই রয়েছে। একই ভাবে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফেও বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বায়ুসেনার প্রমাণ সংগ্রহের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, একাধিক উপায়ে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে বায়ুসেনা। প্রথমত, স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকী অপারেশন অংশগ্রহণকারী যুদ্ধবিমানগুলি থেকে প্রাপ্ত সেন্সর ডেটা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ উঠে এসেছে। আবার ওই যুদ্ধবিমানগুলির প্রতিক্রিয়া থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
বায়ুসেনা কর্তৃক সংগ্রহ করা প্রমাণ সম্পর্কে এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইকনোমিক্স টাইমস-কে বলেন, প্রমাণগুলি যাচাইযোগ্য এবং এখন সরকারের শীর্ষ স্তরের বিবেচনাধীন রয়েছে। তারাই এগুলি জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ৪ মার্চ তোলা একটি স্যাটেলাইট ছবিকে সামনে রেখে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, গত ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের সঙ্গে বর্তমানে তেমন কোনো অমিল ধরা পড়েনি পাখতুনখাওয়া প্রদেশে জইশের ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের। যদিও সূত্রের খবর, পুরনো ছবির সঙ্গে নতুন ছবির সাজুয্য তুলে ধরতে কোনো চক্রান্ত রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয়।
[ আরও পড়ুন: হামলার পর বালাকোটে জইশের ‘প্রশিক্ষণ শিবিরের’ ছবি প্রকাশিত হল আমেরিকা থেকে ]
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারির ওই এয়ার স্ট্রাইকে প্রায় ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করার পরই বিভিন্ন মহল থেকে তার সত্যতা কৌতূহল প্রকাশ করা হয়। এর পরই পুরো বিষয়টি সমগ্র বিশ্বে উদ্দীপনার সৃষ্টি করলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফেও উপযুক্ত প্রমাণ পেশের কথা বলা হয়।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।