ঋদ্ধি হক: ঢাকা
গোটা বিশ্বে আচমকা আছড়ে পড়া করোনাভাইরাসের (coronavirus) থাবায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের (Indo-Bangla) অন্যতম বাণিজ্য দুয়ার বেনাপোল-পেট্রাপোল (Benapole-Petrapole) বন্দর। টানা ৭৮ দিন সীমান্ত-বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর দু’ দেশের ব্যবসায়ীদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় অবশেষে বাধা কাটল। এর ফলে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের।
রবিবার দুপুরে খবর অনলাইনকে এই বার্তা জানিয়ে বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্টের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন বেশ উৎফুল্ল স্বরেই বললেন, আজ বিকাল থেকেই পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকবে বাংলাদেশে (Bangladesh)। পণ্য খালাসের পর সন্ধ্যার আগেই ট্রাক ফিরে যাবে ভারতে। উভয় বন্দরেই মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে উভয় দিকের শ্রমিকদের মধ্যে এখন সাজো সাজো রব। দীর্ঘদিন কর্মীদের হাতগুলো অলস হয়ে পড়েছিল। এক দিকে করোনার থাবা অন্য দিকে কর্মহীন মানুষ! আবার তাঁরা কাজে ফিরতে পারবেন।
ভারতের ব্যবসায়ীরা পেট্রাপোল বন্দরে দীর্ঘ দিন অবস্থান করা পণ্যবাহী ট্রাকের টোল মকুবের আবেদন করেছিলেন। বিকেল নাগাদ হাতে চিঠি পাওয়ার পরই ট্রাক আসতে শুরু করবে বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোলে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি দিন ৫০টি ট্রাক আসবে। দিনে দিনে পণ্য খালাস করে সেগুলো ফিরে যাবে।
পেট্রাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্টের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চ্যাটার্জি খবর অনলাইনকে জানালেন, তাঁরা দীর্ঘ দিন পর পরিস্থিতির একটা সুরাহা করতে পেরেছেন। শ্রমিকদের হাঁকডাক শুরু হয়ে গিয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য তৈরি। প্রতি দিন পণ্য নিয়ে ট্রাক বেনাপোলে আসার পর মাল খালাসের কাজ সে দিনই সম্পন্ন করতে হবে। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবোঝাই হাজার দুই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোলে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার বিস্তার রুখতে ভারত সরকার ২৩ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে। এতে উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। এপ্রিলের শেষ নাগাদ উভয় দেশের সরকার বাণিজ্য চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০ এপ্রিল নোম্যানস ল্যান্ডে ১৫ ট্রাক পণ্য খালাসের পর নানা বাধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার বহু ব্যবসায়ী জানান, প্রায় আড়াই মাস আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় মোটা দাগের ক্ষতিপূরণ গুণতে হচ্ছে তাঁদের।