এক চমকে দেওয়া ঘটনা। গত নভেম্বর মাসে নাগপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমা থাকার ভুয়ো সতর্কবার্তা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি অন্য কেউ নন। তিনি একজন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) কর্মকর্তা! ওই ফ্লাইটে ১৮৭ জন যাত্রী ছিলেন এবং এটি রায়পুরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। পরে বোমার হুমকিকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করা হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত অনিমেশ মণ্ডল নাগপুরে কর্মরত ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট পদমর্যাদার একজন আইবি কর্মকর্তা। তাঁকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ধারা ৩৫১(৪) এবং সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বেআইনি কাজ দমন আইন, ১৯৮২-এর অধীনে রায়পুর পুলিশ গ্রেফতার করে।
ধৃত গোয়েন্দা আধিকারিকের আইনজীবী ফয়জল রিজভি জানান, তাঁর মক্কেল একটি উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটে বোমার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি আইনজীবী জোরের সভ্হে বলেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ।
রায়পুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার সান্তোষ সিং জানান, ওই গোয়েন্দাকর্তাকে আটক করার পর আইবি-কে দ্রুত বিষয়টি জানানো হয়। যৌথ জিজ্ঞাসাবাদে এটা নিশ্চিত হয় যে, বোমার হুমকি ভুয়ো ছিল। সিং বলেন, “তাঁর কর্মকাণ্ড যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং সবার জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।”
আইনজীবী রিজভি যুক্তি দেন, সিভিল এভিয়েশন আইনের অধীনে মামলা বিশেষ আদালতে পরিচালিত হওয়া উচিত, যা ছত্তীসগঢ়ে নেই। তিনি তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত একজন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি একদিকে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তেমনই মামলার আইনি দিকগুলো নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে।