মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল মহায়ুতির জন্য কার্যত ঐতিহাসিক জয়। ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২২০টিতে এগিয়ে থেকে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট তাদের আধিপত্য প্রমাণ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন—দেবেন্দ্র ফডণবীস না কি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে?
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস এই নির্বাচনে বিজেপির অসাধারণ সাফল্যের মূল কারিগর হিসেবে প্রশংসিত। নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম আসন থেকে ফডণবীস সহজেই জয়ের পথে রয়েছেন।
অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডে, কপরি-পাঁচপাখাড়ি আসন থেকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে। তিনি নিজেকে বাল ঠাকরের রাজনৈতিক উত্তরসূরি প্রমাণ করেছেন। শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা ৮১টি আসনের মধ্যে ৫৫টিতে এগিয়ে রয়েছে।
বিজেপি এবার ১৪৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১২৪টিতে এগিয়ে, ৮৩ শথাংশ সাফল্যের হার অর্জন করেছে। ফডণবীসের তৃণমূল স্তরের প্রচার, বিদ্রোহীদের সামলানো এবং দলীয় নেতৃত্বে ঐক্য বজায় রাখার কৌশল প্রশংসিত হয়েছে। তিনি হিন্দু ভোটারদের সংহতি নিশ্চিত করার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন এই নির্বাচনে সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে।
শিন্ডে নিজেকে একজন শক্তিশালী মারাঠা নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর “লাডকি বহিন যোজনা” বিশেষভাবে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে, যা শিবসেনার সাফল্যে বড় ভূমিকা পালন করেছে। শিন্ডে-নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ৮১ শতাংশ সাফল্যের হার অর্জন করেছে। এখন প্রশ্ন, ফডণবীস এবং শিন্ডের মধ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাকে বেছে নেবে মহায়ুতি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, নির্বাচনের পর মহায়ুতির তিন শরিক একসঙ্গে বসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই কথার রেশ ধরেই আপাতত বিজেপি এবং শিবসেনার মধ্যে সমঝোতার মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
তবে, ফডণবীসের জোরালো নেতৃত্ব এবং বিজেপির অসাধারণ সাফল্য তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দৌড়ে এগিয়ে রাখছে। অন্য দিকে, শিন্ডে মহারাষ্ট্রের শাসক দল হিসেবে শিবসেনার পুনরুত্থান প্রমাণ করেছেন।