বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা নিয়ে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ আহমদ শেখ ৩৭০ ধারার সমর্থনে একটি ব্যানার প্রদর্শন করলে তা নিয়ে বিরোধী নেতা সুনীল শর্মা আপত্তি জানান। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধানসভার মার্শালরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন এবং বিধায়কদের আলাদা করেন। বিজেপি বিধায়কদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতারা স্পিকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন, দাবি করেন যে তিনি খুরশিদ আহমদ শেখের দিকে পক্ষপাত করছেন।
পরে অধিবেশন সাময়িকভাবে পুনরায় শুরু হলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই তা আগামীকাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি রবীন্দর রাইনা ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “কংগ্রেস কা হাত পাকিস্তান কে সাথ, কংগ্রেস কে হাত সন্ত্রাসবাদীদের সাথ।”
৩৭০ ধারা পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে উত্তেজনা
৩৭০ ধারা নিয়ে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বুধবারও দেখা গিয়েছিল, যখন জম্মু-কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব আনেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছিল। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে বিজেপি বিধায়করা প্রস্তাবের কাগজ ছিঁড়ে তার টুকরোগুলি বিধানসভায় উড়িয়ে দেন। এসময় শেখ খুরশিদও সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে মার্শালরা আটকায়। এনসি সদস্যরা প্রস্তাবটি পাশের দাবিতে স্লোগান তোলেন।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা নিয়ে বিতর্ক এবং বিধানসভায় এই সংঘর্ষ জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির গভীর মতপার্থক্যকে সামনে তুলে ধরছে।