দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিতভাবে ভারতের ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ২০২৩-এ একটি গুরুতর ত্রুটি সনাক্ত করেছে। অবিলম্বে সেই ক্রটি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে।
ইউনিভার্সাল লেক্সিসনেক্সিস দ্বারা প্রকাশিত এই আইনে গণপিটুনি সংক্রান্ত ধারা ১০৩(২)-এ ‘অন্যান্য অনুরূপ কারণ’ এর পরিবর্তে ‘অন্যান্য কারণ’ মুদ্রিত হয়েছে, যা আইনটির ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আদালত মনে করছে।
বিচারপতি সুভাষ চাঁদ এবং আনন্দ সেন-এর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এই ত্রুটির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, “এই তিনটি আইন সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হওয়ায়, বিভিন্ন প্রকাশকরা এই আইনগুলি প্রকাশ করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাজারে প্রচুর প্রকাশক রয়েছেন এবং এই আইনগুলির বইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।”
আদালত নতুন আইনগুলির গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে। আইনগুলি কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৭৩, ইন্ডিয়ান পেনাল কোড ১৮৬০, এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২-এর পরিবর্তে কার্যকর হয়েছে ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে। বিচারপতিরা বলেন, “আজকের দিনটি ভারতীয় আইনি ব্যবস্থার জন্য একটি বিশেষ দিন।” তারা এই আইনগুলির প্রকাশনায় ত্রুটিহীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
আদালত ইউনিভার্সাল লেক্সিসনেক্সিসকে ত্রুটি সংশোধনের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, প্রচুর সংখ্যক এই আইনগুলির কপি ইতিমধ্যে প্রকাশিত এবং বিক্রি হয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ত্রুটি সংশোধন করে, প্রতিটি জাতীয় সংবাদপত্রে ইংরাজি এবং প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রভাবশালী স্থানীয় ভাষায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে।
আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, ভারতের ন্যায় সংহিতা সম্পর্কিত যেসব বই এখনও বিক্রি হয়নি, সেগুলি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে না। প্রয়োজনীয় সংশোধনের পরে তবেই সেগুলি বিক্রি করা যাবে।