বেঙ্গালুরু: দুবাই থেকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে অবৈধভাবে ১৪.২ কেজি সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও। এমিরেটস ফ্লাইটে দুবাই থেকে ফেরার পরই তাকে আটক করে কাস্টমস আধিকারিকরা। তদন্তে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে চারবার দুবাই সফর করেছিলেন রানিয়া, যা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সন্দেহ তৈরি করে।
কীভাবে পাচার করলেন সোনা?
তদন্তকারীদের মতে, রানিয়া রাও সোনার বার লুকিয়ে এনেছিলেন নিজের পোশাকে এবং একটি অংশ সরাসরি পরে এসেছিলেন। তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় কাস্টমস আধিকারিকরা বিশেষ অভিযান চালান এবং ১৪.২ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কেন দুবাই থেকে সোনা আনছেন অনেকে?
দুবাই ও ভারতের মধ্যে সোনার দামের পার্থক্যের কারণেই বহু পাচারকারী এই পথ বেছে নিচ্ছে।
৭ মার্চ, দুবাইয়ে সোনার দাম:
AED 3,260 প্রতি ১০ গ্রাম (ডলার হিসাবে $887.63, ভারতীয় মুদ্রায় ₹77,281.46)
৭ মার্চ, মুম্বইয়ে সোনার দাম:
₹87,480 প্রতি ১০ গ্রাম (ডলারে $1,003.92)
দেখা যাচ্ছে, দুবাইয়ে সোনা মুম্বইয়ের তুলনায় প্রায় ১১.৫৮% সস্তা!
সোনা আমদানির শুল্ক ও নিয়ম
- বর্তমানে সোনা আমদানিতে ৬% শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, যা আগে ১৫% ছিল।
- তারিফ ভ্যালু (ট্যাক্সের ভিত্তি মূল্য) প্রতি ১০ গ্রাম $৯২৭।
- ৬% শুল্ক বাবদ দিতে হবে $55.62 (প্রায় ₹4,842)।
- শুল্ক দেওয়ার পরও দুবাই থেকে আনানো সোনার দাম ₹82,119.34 প্রতি ১০ গ্রাম, যা মুম্বইয়ের তুলনায় ₹৫,৩৬০ সস্তা।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে কতটা সোনা আনা যায়?
পুরুষ যাত্রী: ২০ গ্রাম পর্যন্ত (₹১ লাখ মূল্যের মধ্যে)
মহিলা যাত্রী: ৪০ গ্রাম পর্যন্ত (₹১ লাখ মূল্যের মধ্যে)
৬ মাস বিদেশে থাকা ভারতীয়রা: ১ কেজি পর্যন্ত সোনা আনতে পারেন, তবে শুল্ক দিতে হবে।
পাচারের নেপথ্যে কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় বাজারে সোনার চাহিদা বেশি হওয়ায় এবং শুল্ক কমে যাওয়ার ফলে পাচারের প্রবণতা বেড়েছে। রানিয়া রাও কাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার মাধ্যমে অন্য কেউ পাচার চক্র চালাচ্ছিল কি না, তা তদন্ত করছে পুলিশ।