আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হচ্ছে। রবিবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়ে এবং দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেজরীওয়াল আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কেজরীওয়ালের আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ইডির মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট যদি কোনও রায় দেয়, তবে উচ্চ আদালতের সেই সিদ্ধান্ত আগে দেখে নিতে চায় তারা।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীওয়ালের জামিন মঞ্জুর করে। ইডি কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল, যা গ্রাহ্য হয়নি। বিচারক ন্যায় বিন্দু কেজরীওয়ালকে জামিন দেন। শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করে ইডি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরীওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাই কোর্ট। শুক্রবার হাই কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা করা হবে। ফলে তত দিন পর্যন্ত তিহাড় জেলে থাকতে হবে কেজরীওয়ালকে।
আরও পড়ুন: ‘সরকার গড়তে বহুমত, দেশ চালাতে সহমত’, অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করার পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি তিহাড় জেলে ফিরে যান। বৃহস্পতিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তাঁর স্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয়।
ইডির আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। অথচ সেগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। অন্যদিকে, কেজরীওয়ালের আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন দেখার বিষয়, দিল্লি হাই কোর্টের পরবর্তী রায় কী হয়।