মুম্বই: করোনাভাইরাস পরীক্ষার অজুহাতে এক তরুণীর গোপনাঙ্গ থেকে সোয়াব নমুনা নেওয়ার জন্য এক ল্যাব টেকনিশিয়ানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলার একটি দায়রা আদালত।
বদনেরার সরকারি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টার ল্যাবরেটরিতে ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২০ জুলাই।
ঘটনায় প্রকাশ, একটি শপিং মলে কাজ করেন ২৩ বছর বয়সি ওই তরুণী। ওই মলেরই অন্য এক কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ার পর নিজের করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন তরুণী। পাশাপাশি মল কর্তৃপক্ষও কর্মীদের কোভিড টেস্ট করাতে বলেন।
জানা যায়, করোনা টেস্ট করাতে গিয়েই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হন ওই তরুণী। ল্যাবে সকলেরই নাক থেকেই সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে অন্য কিছু! তাঁকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযুক্ত অল্পেশ দেশমুখ ওই তরুণীকে জানায়,তিনি কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। আরও পরীক্ষার জন্য তাঁর গোপনাঙ্গের সোয়াব সংগ্রহ করতে হবে। আতংকে দিশাহীন হয়ে তরুণী অল্পেশের কথা বাধ্য হয়েই মেনে নেন। পরে অবশ্য তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি আদতে কোভিড নেগেটিভ।
এই ঘটনার কথা নিজের ভাইকে জানান তরুণী। ভাই হাসপাতালে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, কোভিড শনাক্তকরণের জন্য এ ধরনের কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
এর পরেই স্থানীয় বদনেরা থানায় অভিযোগ জানান ওই তরুণী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ, ধর্ষণ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়।
এ ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছিল সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক দলগুলো। দু:খপ্রকাশ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী যশোমতি ঠাকুর।
এত দিন সেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছিল অমরাবতীর দায়রা আদালতে। শেষমেশ অভিযুক্ত অল্পেশকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাবাস এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়তে পারেন:
ভেঙে যাচ্ছে দু’ভাগে! ১ এপ্রিল থেকে বড়োসড়ো বদল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে
নতুনদের সুযোগ, পুরভোটের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে তোপ দাগলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার
আইসিএসই এবং আইএসসি প্রথম টার্মের ফলাফল ৭ ফেব্রুয়ারি
সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই নিট পিজি পরীক্ষা পিছিয়ে দিল কেন্দ্র