আরেক বিস্ময়কর কীর্তি বিহারে! বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাজ্যপালের ছবি

0

দরভঙা: আবারও এক বিস্ময়কর কীর্তির জন্য খবরের শিরোনামে বিহারের ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়।

গণেশ এবং হনুমান’জির পর…

modi

সম্প্রতি পরীক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দিয়ে লাইমলাইটে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তার আগে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডে অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের ছবি আটকে খবরে উঠে এসেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। একবার অ্যাডমিট কার্ডে পাওয়া গিয়েছিল গণেশ এবং হনুমান’জিকেও। এ বার আরেকটি সীমা অতিক্রম করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

পরীক্ষার্থীরা মধুবনী, সমস্তিপুর এবং বেগুসরাই জেলায় অবস্থিত কলেজগুলির তৃতীয় বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী। এই কলেজগুলির সদর দফতর ললিত নারায়ণ মিথিলা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঘটনায় প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালেয়র আওতাধীন জিডি কলেজ বেগুসরাইয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রবীশকুমার সানুর অ্যাডমিট কার্ডে রয়েছে বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের ছবি। আর মধুবনীর এসএমজে কলেজের স্নাতক ভূগোলের ছাত্রী গুড়িয়া কুমারীর অ্যাডমিট কার্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি লাগানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা। এ ধরনের অ্যাডমিট কার্ডের ছবিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কী বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ?

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুশতাক আহমেদ বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে অসঙ্গতিগুলি প্রকাশ পেয়েছে, সেগুলির গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। একটি এফআইআরও দায়ের করা হতে পারে”।

তিনি আরও বলেন, “অ্যাডমিট কার্ডগুলি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীরা নিজের বিশদ তথ্য দিয়ে লগ-ইন করে ওই অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন। আমাদের ডেটা সেন্টারের তৈরি অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষার্থীদের ছবি এবং অন্যান্য বিবরণ আপলোড করার কথা ছিল। তাঁদেরই কেউ কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন এই কুকর্মে জড়িত বলে মনে হচ্ছে”।

তাঁর কথায়, “তদন্তের পরে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম করেছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের ছবির অপব্যবহারও একটি গুরুতর বিষয়”।

প্রসঙ্গত, এর আগে অ্যাডমিটে কার্ডের ভুল সংশোধন করার দায়িত্ব নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সব দোষ পরীক্ষার্থীদের উপর চাপিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্তের পরই জানা যাবে এ ধরনের ঘটনার জন্য কারা দায়ী।

আরও পড়তে পারেন: করোনায় আটকে ঘরে, চিনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের জন্য ‘সাধারণ ঝুঁকি’ সতর্কতা ভারতের

বিজ্ঞাপন