শনিবার ভোরে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের কাছে ধস নেমে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে তিন জন তীর্থযাত্রী, এক জন পনিওয়ালা। আহত হয়েছেন ৯ জন। এঁদের মধ্যে এক জন ১০ বছরের কিশোর এবং আর এক জন পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা ২০ বছরের যুবক সুরজিৎ বর্মণ। গুরুতর আহতদের মাতা বৈষ্ণো দেবী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে ধস নামে গুহামন্দির থেকে ৬ কিমি আগে অর্ধকুমারী মন্দিরের কাছে। সারা রাত ধরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তার ফলে এই ধস। যখন ধস নামে তখন তীর্থযাত্রীরা একটা আশ্রয় শিবিরে বিশ্রাম করছিলেন। বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে খবর পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মন্দির কর্তৃপক্ষ তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেয় বলে মাতা বৈষ্ণো দেবী শ্রাইনের সিইও অজিত কুমার সাহু জানিয়েছেন।
মৃতদের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে সিইও জানান। এঁরা হলেন, শশীধর কুমার (২৯, বেঙ্গালুরু), বিন্দু সাহনি (৩০) ও তাঁর ছেলে বিশাল (৫) এবং পনিওয়ালা সাদিক (৩২, রিয়াসি)। বিন্দু ও বিশাল এসেছিলেন ছত্তীসগড় থেকে।
এই দুর্ঘটনার ফলে যাত্রা কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। শনিবার বেলার দিকে ফের চালু হয়।
আগের দিনও পাহাড় থেকে পাথর পড়ে মন্দির এলাকায় ২ জন জখম হন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।