খবর অনলাইন: ভোট বড়ো বালাই। তাই প্রগতিশীলতার মুখোশটাও খুলে ফেলতে দ্বিধা করল না কেরলের বাম সরকার। কিন্তু কেরলের দস্তুর অনুযায়ী এটা নিশ্চিত, পাঁচ বছর পর তো সরকার পালটাবেই। তাই অনেকেরই প্রশ্ন, তা হলে একটু কেন সাহস দেখাতে পারল না পিনারাই বিজয়নের সরকার ? এক সময়ে এই বামেরাই তো অন্য দাবি করেছিলেন।
বিষয়, শবরিমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশাধিকার। সুপ্রিম কোর্টে কেরল সরকার জানিয়ে দিল, যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রথায় তারা হস্তক্ষেপ করবে না। অর্থাৎ মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তার বিরুদ্ধে তারা কিছু বলবে না। নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করে কেরলের আগের ইউডিএফ সরকার যে ভূমিকা নিয়েছিল তাতেই বর্তমান সরকারের সমর্থন আছে বলে জানিয়ে দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টে।
অথচ মজার কথা হল, কেরলের এই বাম গণতান্ত্রিক সরকারই ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছিল, শবরিমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক এবং তা বন্ধ হওয়া উচিত। পরে ইউডিএফ সরকার এসে কোর্টে জানায়, শতাব্দী-প্রাচীন এই প্রথা রক্ষা করতে তারা কর্তব্যবদ্ধ।
কেরলে নতুন সরকার আসার পর বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি সি নাগাপ্পন এবং বিচারপতি আর ভানুমতীকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল, বর্তমান সরকার আগের সরকারের পেশ করা হলফনামায় পরিবর্তন চায় কিনা। সিনিয়র অ্যাডভোকেট ভি গিরি রাজ্যের পক্ষে জানিয়ে দেন, তাঁরা এ ব্যাপারে কোনও পরিবর্তন চাইছেন না।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।