প্রথমটায় থতমত খেয়ে গেলেও ড্রিম গার্লকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ওই পাহারাদার কী করলেন, জেনে অবাক হয়ে যেতে হয়! ঠিক যেমন খবরটা শোনার পরে থ’ হয়ে গিয়েছে বন দফতরও! কেন না, ভিডিও ফুটেজ বলছে, দেখা মাত্রই চিতাবাঘটিকে লাঠি নিয়ে তাড়া করেন ওই ব্যক্তি। হেমার বাংলোয় তিনি ওকে ঢুকতে তো দেবেন-ই না, পাশাপাশি এলাকাছাড়াও করে ছাড়বেন- তেমনটাই মনে হচ্ছে ফুটেজ দেখে!
সেই জায়গা থেকে বন দফতরের সামনে আপাতত দু’টি চিন্তার কারণ উপস্থিত হয়েছে। প্রথমত, যশোধাম হিল টপ এলাকায় চিতাবাঘের হানা বেড়েই চলেছে। ২০১১ সালেও একটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল হেমার বাংলোয়। বাংলোর বাগানে দিব্যি গ্যাঁট হয়ে বসে ছিল সে, নড়াচড়ার নামও করছিল না। উপরের ভিডিওয় দেখুন সেই কারনামা!
আরও পড়ুন: গব্বর নয়, জয়কে মেরেছিল সেন্সর বোর্ড, ৪৩ বছর পরে বিস্ফোরক রমেশ সিপ্পি
সেই জায়গা এবং বর্তমানের ঘটনার প্রেক্ষিতে বন দফতরের অনুমান- জঙ্গলে চিতাবাঘের খাবারের অভাব হচ্ছে। সে কারণেই ওরা বার বার চলে আসছে লোকালয়ে। অর্থাৎ, এ রকম চলতে থাকলে জঙ্গলে তারা নিরাপদ নয়। এবং লোকালয়ে এলে মানুষের রোষের মুখেও তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে!
তা ছাড়া রয়েছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নটিও। বন দফতর জানিয়েছে, যে ভাবে ওই পাহারাদার লাঠি হাতে তেড়ে গিয়েছিলেন চিতাবাঘটির দিকে, তা মোটেও নিরাপদ নয়। কেন না, তিনি তখন একা ছিলেন এবং এ রকম কিছু হলে চিতারা খেপে গিয়ে মানুষকে আক্রমণ করে থাকে। সেটা হলে ওই চিতা নরখাদকে পরিণত হত এবং তখন তার নররক্ত-লালসা আরও প্রাণ ঝুঁকিতে ফেলত।]]>
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।