খবর অনলাইনডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া সম্মান ফিরিয়েই ক্ষান্ত থাকল না পরিবেশসংগ্রামী কিশোরী আট বছরের লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম (Licypriya Kangujam)। এ বার কংগ্রেসের উদ্দেশেও ঝাঁঝালো আক্রমণ শানাল সে। সাফ জানিয়ে দিল, তার প্রতি করুণা নয়, তার দাবিগুলি সংসদে পেশ করলেই সে সব থেকে বেশি খুশি হবে।
বিশ্ব শিশু শান্তি পুরস্কার পাওয়া আট বছরের লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজামকে (Licypriya Kangujam) ভারতের প্রেরণাস্বরূপ মহিলা ও শিশুকন্যাদের একজন হিসেবে প্রশংসা করে কিছু দিন আগেই টুইট করেছিল ভারত সরকার। কিন্তু সেই সম্মান ফিরিয়ে দেয় লিসিপ্রিয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উদ্দেশে তার টুইট, “আমাকে প্রেরণা হিসেবে সম্মান দেওয়ার পরিবর্তে পরিবেশ সংরক্ষণে আমার দাবিগুলি মেনে নিলেই বেশি সম্মান দেওয়া হবে।” স্বভাবতই এই টুইট করার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভক্তদের’ কটূক্তির মুখোমুখি হয়ে হয়েছে তাকে।
মোদীর সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার পর তার সাহসকে কুর্নিশ জানিয়ে টুইট করেছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর (Sashi Tharoor)। কিন্তু কংগ্রেসের উদ্দেশেও সমান আক্রমণ শানায় সে।
একটি টুইটে লিসিপ্রিয়া লিখেছে, “তোমরা আমার প্রতি সহানুভূতিশীল? আচ্ছা তা হলে মূল কথায় এসো। লোকসভা আর রাজ্যসভায় আমার দাবিগুলি তুলতে তোমাদের কতজন সংসদ রাজি হয়েছে?”
এর জবাবে শশী লিসিপ্রিয়াকে উদ্দেশ করে লেখে, “তোমার স্বর আমাদেরও স্বর।” গত তিন বছর ধরে বায়ুদূষণ রোধে তিনি কী করছেন, তার খতিয়ান দেন তারুর। যদিও পালটা জবাবে লিসিপ্রিয়া বলেন, “স্যার, আমার জবাবের তারিফ করছি। কিন্তু আপনি আমার মূল দাবিগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন।”
এর পর তার মূল তিনটে দাবি টুইটারে পোস্ট করে লিসিপ্রিয়া। তার মূল দাবিগুলি হল, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আইন পাশ করা হোক সংসদে, ভারতের সমস্ত স্কুলে জলবায়ু পরিবর্তনকে পাঠ্য করা হোক আর কোনো পড়ুয়া ফাইনাল পরীক্ষা পাশ করলেই তাকে দিয়ে অন্তত দশটা গাছ লাগানো হোক।”
আদতে মণিপুরি হলেও লিসিপ্রিয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে দিল্লিতেই থাকে। গত দু’ বছর ধরে পরিবশের বিপন্নতা, সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিজের মতো করে সরব সে। পেয়েছে এপিজে আবদুল কালাম পুরস্কার-সহ বিভিন্ন পুরস্কারও।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।