শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। গত ২৬ আগস্ট ঢাকায় ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের সামনে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান, ভিসা না পাওয়ার প্রতিবাদে স্লোগান তোলেন—‘এক দফা, এক দাবি, ভিসা চাই, ভিসা চাই’। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, আপাতত শুধুমাত্র চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান করা হবে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। তাই আপাতত চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভিসা প্রদান ফের চালু হবে।”
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ভারতীয় দূতাবাস এবং ভিসা কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল এবং কিছু কর্মীকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে সীমিত আকারে আবার ভিসা পরিষেবা চালু হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, এবং খুলনার ভিসা কেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা শুরু হয়েছে, কিন্তু এখনও শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য ভিসা প্রদান করা হচ্ছে।
ন’বছর পর ফের পাকিস্তানে যেতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী
ভারতের ভিসা কেন্দ্রে বর্তমানে শুধুমাত্র সেসব বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে যাঁদের জরুরি প্রয়োজন বা চিকিৎসার জন্য ভারতে আসার দরকার রয়েছে। অন্য ভিসা আবেদনগুলি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।
বাংলাদেশে এখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায়, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভিসা প্রদানের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।
বর্তমানে সীমিত আকারে চালু করা এই পরিষেবা কবে সম্পূর্ণ পুনরায় শুরু হবে, তা নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার উপর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কেবলমাত্র চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে পরিস্থিতি ঠিক হলে পূর্ণ মাত্রায় ভিসা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের বহু নাগরিক যাঁরা ব্যবসা, শিক্ষা বা অন্যান্য কারণে ভারতে আসতে চান, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং ভিসা প্রদান আগের মতো সহজ হবে।