চেন্নাই: গত বছর এপ্রিলের পর আবার। দ্বিতীয় ঘরোয়া বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি ঝিনপিং। শুক্রবার চেন্নাইয়ে ভিন্ন সময়ে পৌঁছোবেন দুই রাষ্ট্রনেতা, সেখান থেকে তাঁদের গন্তব্য হবে মন্দিরশহর মামাল্লাপুরম।
২০১৭ সালে ডোকলামকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়েছিল। ৭৩ দিনের সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে আবার শান্তি ফিরে আসে সীমান্তে। তার পরেই এই ঘরোয়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।
দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন। সেই এপ্রিলে চিনের উহানে এই বৈঠকের পর মোদীই ঝিনপিংকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণই এ বার রক্ষা করবেন ঝিনপিং।
এ দিন সকাল ১১:১৫-এ চেন্নাইয়ে পা রাখবেন মোদী। ঝিনপিং পা রাখবেন দুপুর ২টোয়। এর পর দু’ জনেই চেন্নাই থেকে মামাল্লাপুরমের উদ্দেশে সড়কপথে রওনা হবেন।
শুক্রবার দুই নেতার মধ্যে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ বৈঠক হবে না। সেটা হবে শনিবার। তবে যে হেতু ঘরোয়া বৈঠক তাই কোনো চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হবে না।
আরও পড়ুন ৫০টি রেল স্টেশন এবং ১৫০টি ট্রেনের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্র
এ দিন বিকেলে মামাল্লাপুরমে পৌঁছে মন্দিরশহরের বিভিন্ন স্থাপত্য ঝিনপিংকে ঘুরিয়ে দেখাবেন মোদী। এর পর শোর মন্দিরকে পেছনে রেখে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দেখবেন দু’জনে।
তবে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ঘরোয়া বৈঠক হলেও তার তাৎপর্য যথেষ্ট। কারণ দু’ দিন আগেই কাশ্মীর নিয়ে আবার বেসুরো গেয়েছে চিন। তারা জানিয়েছে, কাশ্মীরের ওপরে নজর রাখছে এবং পাকিস্তানের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে তারা।
ফলে পাকিস্তান, সন্ত্রাসবাদ এবং কাশ্মীর প্রসঙ্গ যে উঠবেই তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই রাষ্ট্রনেতায়।
এ ছাড়া ভারত-চিন সীমান্তে ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেশার’ (সিবিএম) বা আস্থা বাড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপেরও ঘোষণা হতে পারে এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে।