কলকাতা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিরোধী জোটের প্রার্থী ঠিক করতে আগামী মঙ্গলবার বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলের নেতানেত্রীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর বার্তা। তবে পওয়ারের ডাকা ওই বৈঠকে যাচ্ছেন না তৃণমূলনেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, মমতার পরিবর্তে ওই বৈঠকে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উদ্দেশ্য একই হলেও পওয়ারের ডাকা বৈঠকে মমতার যোগ না দেওয়া নিয়েও চলছে জল্পনা। একাংশের মতে, পওয়ারের পাঠানো বার্তায় আগের বৈঠকের (১৫ জুন, দিল্লি) কোনো উল্লেখ নেই। হতে পারে এই কারণে বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। কারণ, আগের বৈঠকটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনিই।
এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেই দিয়েছেন মমতা। হতে পারে নতুন করে আর কিছু বলার সেই। এই কারণেও পওয়ারের ডাকা বৈঠক এড়ানোর কথা ভাবতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত ত্রিপুরায় থাকবেন অভিষেক। ত্রিপুরায় চারটি আসনে উপনির্বাচনে প্রচার করছেন তিনি। বৈঠকে যোগ দিতে সেখান থেকেই দিল্লি রওনা দিতে পারেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছোতেই গত বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৭টি বিরোধী দলের নেতৃত্ব। সেখানে পওয়ারের নাম প্রস্তাব করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রস্তাব ফেরান এনসিপি প্রধান। এর পরে উঠে আসে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম।
নাম প্রস্তাব করার জন্য মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সরে দাঁড়িয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, তাঁকেই বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানানোর কথা ভাবছে সিপিএম।
আরও পড়তে পারেন:
‘অগ্নিপথ’ প্রত্যাহারের কোনো প্রশ্ন নেই, প্রকল্পের ব্যাখ্যা করে জানিয়ে দিল সেনা
অনুগামীদের চুপচাপ বসে যাওয়ার বার্তা, বঙ্গ-বিজেপিতে বিদ্রোহের আবহে দুধকুমারের পাশে অনুপম
বিহার জ্বলছে, বিজেপি-জেডিইউ নিজেদের মধ্যে লড়ছে! ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর
অগ্নিগর্ভ বিহারে রবিবার ভোর চারটে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ট্রেন পরিষেবা