দেশ
অমিত শাহের হিন্দি-তত্ত্বের বিরুদ্ধে সরব মমতা, সিদ্দারামাইয়া, স্টালিন

ওয়েবডেস্ক: শনিবার হিন্দি দিবস-এ আরও বেশি করে হিন্দির বলার আবেদন রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক মাস ধরেই জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। চলছে দেশজোড়া বিতর্কও। স্বাভাবিক ভাবেই অমিতের এ দিনের আবেদন সেই বিতর্কে আরও ইন্ধন জোগাল।
অমিতের টুইটের পরই কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কন্নড়ে টুইট করে লেখেন, “হিন্দি একটি জাতীয় ভাষা, এই মিথ্যা প্রচার বন্ধ করা উচিত। এটা সকলেই জানেন যে, এটি কন্নড়ের মতোই ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার মধ্যে অন্যতম একটি”।
একই সঙ্গে সিদ্দারামাইয়া লিখেছেন, “আপনি মিথ্যা ও জাল তথ্য ছড়িয়ে কোনো ভাষার প্রচার করতে পারবেন না। ভাষা একে অপরের প্রতি স্নেহ ও শ্রদ্ধার আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিকশিত হয়”। হিন্দির কোনো বিরোধিতা নয়। কিন্তু জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ডিএমকে প্রধান স্টালিন বলেন, “তাঁর (অমিতের) অনুরোধ অবিলম্বে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা তাঁকে অনুরোধ করছি। তাঁর আবেদনে অ-হিন্দিভাষী লোকদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে দেখানোর চেষ্টা রয়েছে। যদি এই মন্তব্য প্রত্যাহার না করা হয়, ডিএমকে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে বাধ্য হবে”।
একই ভাবে সরকারকে এ জাতীয় “অসাধু প্রচেষ্টা” থেকে বিরত থাকার সতর্কতা দিয়ে সিপিআই অমিত শাহকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
লিখিত বিবৃতি দিয়ে সিপিআই বলে, “হিন্দি দিবসে অমিত শাহের বক্তব্য যে, আমাদের জাতির ঐক্যকে শুধুমাত্র হিন্দি ভাষাই ধরে রাখতে পারে। এই ধরনের মন্তব্য বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ধারণার উপর হামলার সমান। বিভিন্নতার সম্মান, সুরক্ষা এবং লালন করলেই আমাদের জাতির ঐক্য নিশ্চিত হয়”।
অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইটারে এ দিন লিখেছেন, “হিন্দি দিবসে সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। আমাদের উচিত সব ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমান ভাবে সম্মান জানানো। আমরা অনেক ভাষাই শিখতে পারি কিন্তু মাতৃভাষাকে কখনোই ভোলা উচিত নয়”।
দেশ
Covid-19 Vaccine: অক্টোবরের মধ্যে আরও ৫টি কোভিড ভ্যাকসিন পাচ্ছে ভারত!
১০ দিনের মধ্যে অনুমোদন পেতে পারে আরও একটি ভ্যাকসিন!

খবর অনলাইন ডেস্ক: দৈনিক করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোভিডবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণ কর্মসূচির গতি বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ডোজের জোগান অব্যাহত রাখতে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি সংস্থার ভ্যাকসিন পেতে চলেছে দেশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যবহৃত কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের মতো টিকার সঙ্গেই আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি সংস্থার টিকা হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসছে যে ৫টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন
সূত্রটি জানিয়েছে, “ভারতে বর্তমানে দুই ধরনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (Covid-19 vaccine) ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড (Covishield) এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। চলতি ২০২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষ নাগাদ আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন আমরা হাতে পেতে চলেছি”।
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, যে নতুন পাঁচটি ভ্যাকসিন আসতে চলেছে, সেগুলি হল স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন (রাশিয়ার তৈরি, ভারতে তৈরি করছে ডা. রেড্ডিজ), জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন (বায়োলজিক্যাল ই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে), নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন (সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে), জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিনগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখার কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমোদন কর্তৃপক্ষ (EAU) দেশে ব্যবহৃত যে কোনো ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখার পরেই অনুমোদন দেয়।
১০ দিনের মধ্যে অনুমোদন পেতে পারে একটি ভ্যাকসিন
বর্তমানে প্রায় ২০টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার পর্যায়ের রয়েছে। সূত্রটির দাবি, এগুলির মধ্যে সব থেকে প্রথমে স্পুটনিক-ভি অনুমোদন পাবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে পারে স্পুটনিক-ভি।
আরও পড়তে পারেন: Corona Update: এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়াল
দেশ
লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, নাইট কারফিউ-সহ একাধিক বিধিনিষেধ জারি হল উত্তরপ্রদেশে
পাঁচশোর বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে, এমন জেলায় আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জেলায় জেলায় নাইট কারফিউ এবং অন্য়ান্য বিধিনিষেধ জারি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
রবিবার সরকারি বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হল, যে জেলাগুলিতে ৫০০-র বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছেন, সেখানে নাইট কারফিউ কার্যকর করবে স্থানীয় প্রশাসন।
পাশাপাশি, ওই জেলাগুলিতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়।
বৈঠকে স্থির হয়, এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লক্ষ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।
শনিবার একটি পর্যালোচনা বৈঠকের পরে নবরাত্রি এবং রমজানের মতো আসন্ন উৎসবগুলিতে কোভিড মহামারি কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে পাঁচ বা ততোধিক লোকের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
হিন্দুদের দ্বারা উদযাপিত পবিত্র নবরাত্রি উৎসব এবং মুসলমানদের কাছে বছরের সব থেকে প্রতীক্ষিত রমজান ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। তবে রমজানের তারিখটি স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদশে নতুন করে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৪৮। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ ২ হাজার ২০৭ এবং মৃত্যু হয়ছে ৪৬ জন কোভিডরোগীর।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের রাজধানী লখনউতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,০৫৯, এলাহাবাদে ১,৪৬০, বারাণসীতে ৯৮৩ এবং কানপুরে ৭০৬ জন।
আরও পড়তে পারেন: করোনা মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি হল দিল্লিতে
দেশ
Corona Update: এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়াল
রবিবার দেশে দৈনিক কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের উপরে উঠে গেল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এক লক্ষের গণ্ডি টপকে ছিল ক’দিন আগে। এ বার দৈনিক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দেড় লক্ষের সীমা পার করে নতুন রেকর্ড গড়ল রবিবার। ফলে দেশে দৈনিক কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম পড়ার তো কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। উলটো দিকে শেষ কয়েক দিন ধরে ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণের হার।
দেশের কোভিড-পরিস্থিতি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০৫। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭৯।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে দেশে ৮.২৯ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
সুস্থ হলেন সাড়ে ৯০ হাজার
এ বার গতিপ্রাপ্ত হতে শুরু করেছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যাটাও এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ৯০ হাজার ৫৮৪ জনের সুস্থতার ফলে এই মুহূর্তে দেশে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। দেশে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯০.৪৪ শতাংশ রয়েছে।
স্বস্তি দিচ্ছে মৃত্যুহার
সংক্রমণ ক্রমশ রেকর্ড তৈরি করলেও দৈনিক মৃত্যুহার প্রথম ঢেউয়ের থেকে অনেকটাই কম রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডের কারণে মারা গিয়েছেন ৮৩৯। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৭৫ জন। সামগ্রিক ভাবে দেশের মৃত্যুহার বর্তমানে কমে হয়েছে ১.২৭ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার ১০-এর উপর
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে টেস্ট হয়েছে ১৪ লক্ষ ১২ হাজার ৪৭টি। এর বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ১০.৮২ শতাংশ। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মোট ২৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সার্বিক সংক্রমণের হার ৫.২০ শতাংশ।
রাজ্যওয়াড়ি দৈনিক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা
১) মহারাষ্ট্র – ৫৫,৪৪১
২) ছত্তীসগঢ় – ১৪,০৯৮
৩) উত্তরপ্রদেশ – ১২,৭৪৮
৪) দিল্লি – ৭,৮৯৭
৫) কর্নাটক – ৬,৯৫৫
৬) কেরল – ৬,১৯৪
৭) তামিলনাড়ু – ৫,৯৮৯
৮) গুজরাত – ৫,০১১
৯) মধ্যপ্রদেশ – ৪,৯৮৬
১০) রাজস্থান – ৪,৪০১
১১) পশ্চিমবঙ্গ – ৪,০৪৩
১২) বিহার-৩,৪৬৯
১৩) পঞ্জাব– ৩,২৩৯
১৪) অন্ধ্রপ্রদেশ – ৩,৩০৯
১৫) তেলঙ্গানা – ৩,১৮৭
১৬) হরিয়ানা – ২,৯৩৭
১৭) ঝাড়খণ্ড-২,৩৭৩
১৮) ওড়িশা-১,৩৭৪
১৯) উত্তরাখণ্ড-১,২৩৩
২০) জম্মু ও কাশ্মীর-১,০০৫
পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি
যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তোলার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে বাংলাকে। মাত্র দু’ সপ্তাহ আগেই যে রাজ্যে সংক্রমণ ছিল তিন অংকে, সেখানেই শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে চার হাজারের গণ্ডি। করোনাকালের দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ডটি রাজ্য যে অচিরেই ভেঙে দেবে তা বোঝাই যাচ্ছে। পরিস্থিতি আর কতটা ভয়াবহ হবে, সেটাই কার্যত ভেবে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Bengal Corona Update: স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তোলার খেসারত দিচ্ছে বাংলা, সংক্রমণ ৪ হাজার পার
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: বলে ভেলকি হর্শল পটেলের, ব্যাটে জ্বলে উঠলেন ডেভিলিয়ার্স, বেঙ্গালুরুর কষ্টার্জিত জয়
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
দেশ1 day ago
Corona Update: রেকর্ড তৈরি করে দেড় লক্ষের দিকে এগিয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণ, তবুও কম মৃত্যুহারে কিছুটা স্বস্তি