দেশ
দাবাই ভি, কড়াই ভি! ২০২১-এ নরেন্দ্র মোদীর নয়া মন্ত্র
ভ্যাকসিন এলেও সতর্ক থাকার নয়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

নয়াদিল্লি: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ফের এক বার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নিকাশিকর্মী, ওষুধ সরবরাহকারী-সহ করোনার বিরুদ্ধে সমস্ত প্রথমসারির কর্মীকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। একই সঙ্গে আগত নতুন বছরে সতর্ক থাকার আবেদনও জানালেন।
ভ্যাকসিন এসে যাওয়ার পরেও সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনা মোকাবিলায় আমরা যেন কোনো রকমের শিথিলতা না দেখাই”। বৃহস্পতিবার গুজরাতের রাজকোটে এইমস (AIIMS)-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নতুন বছরের নতুন স্লোগান বেঁধে দিলেন তিনি।
২০২১-এর নয়া মন্ত্র
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আগে বলেছি, দাবাই নেহি তো ঢিলাই নেহি (টিকা না আসা পর্যন্ত কোনো শিথিলতা নয়)। কিন্তু ২০২১ সালে আমাদের মন্ত্র হবে, দাবাই ভি, কড়াই ভি (টিকা এলেও সতর্ক থাকতে হবে)”।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সারা দেশে টিকাকরণের প্রস্তুতি প্রায় শেষলগ্নে। কোভিড-১৯ (Covid-19)-এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করেই দেশের মানুষের টিকাকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে”।
আশাব্যঞ্জক করোনা-পরিস্থিতি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে এখন নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে নিম্নমুখী। নতুন বছরে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ শুরু করতে চলেছি”।
করোনার বিরুদ্ধে ভারতের এই লড়াইয়ে সামনের সারির কর্মীদের নি:স্বার্থ ভাবে কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বছরের শেষ দিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নিকাশিকর্মী, ওষুধ সরবরাহকারী এবং অন্য় সমস্ত সামনের সারির ভূমিকা স্মরণ করা উচিত। ২০২০ সাল আমাদের আরও এক বার শিক্ষা দিল, স্বাস্থ্যই সম্পদ। গোটা বছরটাই আমাদের কাছে একের পর এক চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে। যা নতুন বছরেও অগ্রাধিকার পাবে।
স্বাস্থ্যপরিকাঠোমার উন্নতি
করোনা মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্যপরিকাঠোমার প্রভূত উন্নয়ন করা হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে প্রায় ৩০ কোটির বেশি গরিব মানুষের টাকা বেঁচেছে। গরিব মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে জন ঔষধি কেন্দ্রগুলিও। সারা দেশে এ ধরনের সাত হাজার কেন্দ্র থেকে ৯০ শতাংশ ছাড়ে সাড়ে তিন লক্ষ রোগী ওষুধ পেয়েছেন।
মোদী আরও বলেন, “শেষ ছ’বছরে সারা দেশে ১০টি এইমস-এর কাজ শুরু করেছিলাম। যার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়া ২০টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও গড়ে উঠেছে”।
আরও পড়তে পারেন: ২০২১-এ চার রাজ্যের বিধানসভা ভোট, বিজেপির সামনে ‘সর্বভারতীয়’ হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ
দেশ
অভিবাসী শিশুদের অবস্থা জানাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অপ্রত্যাশিত লকডাউন। সংকটে অভিবাসী পরিবার। শিশুদের সংখ্যা এবং মৌলিক অধিকার নিয়ে কেন নেই কোনো তথ্য?

নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অভিবাসী শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলির কাছে রিপোর্ট চাইল। এ বিষয়ে যথাযথ দিকনির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই রাজ্যগুলিকে অভিবাসী শিশুদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রাহ্মণ্যমের বেঞ্চ এই মামলার পক্ষ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত রাজ্যকে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রবীণ আইনজীবী জয়না কোঠারি আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ আদালত ৮ মার্চ সমস্ত রাজ্যে এটি কার্যকর করেছিল এবং কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অভিবাসী শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে চাইল্ড রাইটস ট্রাস্ট এবং বেঙ্গালুরুর বাসিন্দার দায়ের করা আবেদনে নোটিশ জারি করেছিল।
আবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংকটের তীব্রতার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছিল। এই সময়ে অভিবাসী শিশুরা চরম ভাবে প্রভাবিত হয়, তাদের বড়োসড়ো ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়। অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও অভিবাসী শিশু এবং মহিলাদের জন্য নেওয়া বিশেষ পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যারা সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন ত্রাণশিবির এবং কোয়ারান্টিন সেন্টারে আটকে পড়েছিল।
আবেদনকারীর দাবি, অপ্রত্যাশিত লকডাউন অভিবাসী শিশুদের সামনেও সংকট ডেকে নিয়ে এসেছিল। তাদের মৌলিক এবং মানবাধিকার সংকটের মুখে পড়েছিল।
বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ড অফিসের মাধ্যমে নথিভুক্ত অভিবাসী পরিবারগুলির শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের অবস্থার বিশদ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী।
আরও পড়তে পারেন: বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
দেশ
UP Panchayat Polls: শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকায় নাম বাদ! ক্ষোভ চরমে
ভোটের আগেই খেলা ‘শেষ’? শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ অনেকের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকা থেকে নাম কাটার আগে ভোটার অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাতে হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার আগে বিধি মেনে নোটিশ দেওয়া দূরের কথা,বুথ লেভেল অফিসার এ বিষয়ে না জানিয়েই নাম কেটে দিয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে একটা বড়ো সংখ্যক ভোটার নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিএলও থেকে তহসিল অফিসে যাতায়াত করছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ অর্থাৎ, ৪ এপ্রিলের পর নতুন করে যেমন নাম বাতিল করা যাবে না, তেমনই নাম অন্তর্ভুক্ত করাও সম্ভব নয়।
এ ভাবে নাম কেটে ফেলার কারণে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ভোটারদের ক্ষোভ ভোটের দিন যে কোনো জায়গায়ই ফুটে উঠতে পারে। অতীতেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটার তালিকায় গোলমাল ও তার জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রামীণ পঞ্চায়েত, ক্ষেত্র পঞ্চায়েত এবং জেলা পঞ্চায়েতের জন্য ১৫, ১৯, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ মার্চ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা আগামী ২ মে।
তথ্যসূত্র: অমর উজালা
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এপ্রিলের শেষেই ভারতের বাজারে নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলে আসবে স্পুটনিক ফাইভ টিকা। এমনই জানিয়েছে রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিল তথা আরডিআইএফ (RDIF)। ওষুধ প্রস্তুতকারী ভারতের পাঁচটা ফার্মে এই টিকা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বছর এই টিকার ৮৫ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে স্পুটনিক ফাইভ টিকা ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর তাই তৃতীয় টিকাও পেয়ে গেল ভারত।
ভারতে স্পুটনিক ফাইভ টিকা তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডি’জ। তারা জানিয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের পরে স্পুটনিক ভি টিকার কার্যকারিতা সব চেয়ে বেশি, ৯১.৬ শতাংশ। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিল ডক্টর রেড্ডি’জ। বর্তমানে ভারতে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
তবে অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তো টিকা ব্যবহার করা যায় না। আরও অনেকটাই পথ যেতে হয়। তাই রাশিয়ার সংস্থাটি জানিয়েছে এপ্রিলের শেষ বা বড়োজোর মে’র শুরু থেকে এই টিকা পাবেন সাধারণ মানুষ। তারা জানিয়েছে এই টিকা উৎপাদনের জন্য পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। তারা হল Gland Pharma, Hetero Biopharma, Panacea Biotec, Stelis Biopharma এবং Virchow Biotech।
আরডিআইএফ জানিয়েছে, আপাতত ভীষণ নিয়ন্ত্রণ ভাবে সরবরাহ করা হলেও আগামী দু’ মাসের মধ্যে এই টিকা উৎপাদন অনেকটাই বাড়ানো হবে। জুনের মধ্যে স্পুটনিক ফাইভের প্রচুর পরিমাণে ডোজ ভারতের বাজারে চলে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সি প্রায় ১৬০০ জনের মধ্যে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। টিকা ব্যবহারের ফলাফল ইতিবাচক।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ2 days ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি