নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ অতিমারি (COVID-19 pandemic)-র কারণে বাড়িতে আটকে রয়েছেন বিদেশে পা বাড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নথিভুক্ত পড়ুয়া। বেজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে বর্তমানে চিনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রাথমিক ভাবে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নথিভুক্ত ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া প্রভাবিত হয়েছেন। তাঁদের জন্যই ‘সাধারণ ঝুঁকি’ (common risks) বার্তা ভারতীয় দূতাবাসের।
বেজিংয়ে ভারতীয় দূতাবাসের জারি করা পরামর্শে জানানো হয়েছে, “প্রাক্তন পড়ুয়াদের কাছ থেকে বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া পেয়েছে দূতাবাস। ওই পড়ুয়ারা আগে চিনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন। তাঁদের মতে, সবচেয়ে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হল এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিনা শিক্ষকদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীদের সঙ্গে যে অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী প্র্যাকটিক্যাল বা ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের অভিযোগের সংখ্যাও খুব একটা বেশি নয়”।
শেষ ৭ বছরে কৃতকার্য ১৬ শতাংশ
ন্যাশনাল বোর্ড অব এগজামিনেশন পরিচালিত একটি সমীক্ষার লিঙ্ক শেয়ার করেছে দূতাবাস। যাতে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এফএমজি পরীক্ষা (FMG Examination)-য় অংশগ্রহণকারী ৪০ হাজার ৪১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র ৬ হাজার ৩৮৭ জনই কৃতকার্য হয়েছেন।
আরও স্পষ্ট করে বললে, ৪৫টি অনুমোদিত চিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো একটি থেকে অধ্যয়ন করা মাত্র ১৬ শতাংশ ক্লিনিক্যাল মেডিসিন প্রোগ্রাম পড়ুয়া ভারতে অনুশীলন করার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
দু’বছর আগে কোভিডের কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল চিন। সম্প্রতি সে দেশে ফেরার জন্য নির্বাচিত সংখ্যক পড়ুয়াকে ভিসা দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই যেতে পারছেন না। উড়ান নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন বিধি ইত্যাদি জটিলতা এখনও রয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে চিনা মেডিক্যাল কলেজগুলি ভারত ও বিদেশ থেকে নতুন ছাত্রদের জন্য তালিকাভুক্তি শুরু করেছে।
এলওসি সমস্যা সমাধানে সক্রিয়তা
অন্য দিকে, ২০২০ সালের মে মাসের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC) বরাবর তৈরি হওয়া সমস্যার সমাধানে আরও এক ধাপ এগিয়েছে ভারত-চিন। গত শুক্রবার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, গোগরা-হটস্প্রিং (পেট্রলিং পয়েন্ট-১৫) এলাকায় তৈরি করা অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে ফেলা এবং যাচাই করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকায় শান্তি ফেরাতে পদক্ষেপের জেরে আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা বেড়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী শুক্রবার বলেন, ‘‘আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের পর্ব শেষ হবে।’’