পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পলাতক হীরার ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সী-কে বেলজিয়ামে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের অনুরোধে তাঁর প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সংস্থা PTI-কে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলি।
বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প শহরে স্ত্রী প্রীতি চোক্সী-র সঙ্গে বসবাস করছিলেন মেহুল। জানা গিয়েছে, বেলজিয়ামে থাকার জন্য তিনি ‘F রেসিডেন্সি কার্ড’ পান ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর। কিন্তু সেখানে ভুয়ো তথ্য, জাল নথি এবং ভ্রান্ত ঘোষণার মাধ্যমে তিনি রেসিডেন্সি কার্ড পান বলে অভিযোগ। এর আগেও অ্যাসোসিয়েটেড টাইমস, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল যে, ভারত বেলজিয়াম সরকারের কাছে তাঁর প্রত্যার্পণ চেয়েছে।
কে মেহুল চোক্সী?
মেহুল চোক্সী, ভারতের অন্যতম বড় গয়না সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৩,৫০০ কোটি টাকার পিএনবি ঋণ জালিয়াতি মামলায় মূল অভিযুক্ত। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এবং সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চার্জশিট দায়ের করেছে। ২০১৮ সালে তিনি প্রথম পলাতক হন এবং আশ্রয় নেন অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা-তে। পরে তিনি সেখান থেকে বেলজিয়ামে স্থানান্তরিত হন। তাঁর স্ত্রী প্রীতি চোক্সী বেলজিয়ামের নাগরিক।
চোক্সীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিস থাকলেও, সেটি কিছুদিন আগে বাতিল হয়। এরপরই ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁর প্রত্যার্পণের উদ্যোগ নেয়। গ্রেফতারির পর এখন ভারতের তরফে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক এবং আইনি প্রক্রিয়া জোরকদমে শুরু হয়েছে।
ভারতে ফিরলে মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে শুরু হতে পারে আবার জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচার প্রক্রিয়া—পিএনবি কেলেঙ্কারির মতো বড় আর্থিক অপরাধের বিচারে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।