ওয়েবডেস্ক: এ বার ্#মিটুর গুঁতোয় কাহিল খোদ বিজেপির উচ্চপদাধিকারী!
এই তো ক’হপ্তা আগে #মিটুর ঠ্যালায় কেন্দ্রের মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক এবং সাংবাদিক এম জে আকবর। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েক ধরে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন এক কুড়িরও বেশি মহিলা সাংবাদিক। ২ নভেম্বর আবার তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক বিদেশি সাংবাদিক। আকবর বলেছেন, হ্যাঁ, পল্লবী গগৈয়ের সঙ্গে তাঁর গভীরতর সম্পর্ক ছিল বটে, তবে সেটা দ্বিতীয়পক্ষের সম্মতিতেই। অভিযোগকারিণী তা উড়িয়ে দিয়ে ধর্ষণেই গ্যাঁট হয়ে বসে আছেন। ফলে আকবরি উবাচ এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না শ্রোতারা। এরই মাঝে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে হইহই-রইরই কাণ্ড!
উত্তরাখণ্ড বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার শুক্রবার দলেরই এক মহিলাকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে নিজের পদ থেকে অপসারিত হলেন। তবে এই অভিযোগ প্রায় আধ বছরের পুরনো। ৬মাস ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ গলা ফাটিয়েছেন অভিযোগকারিণী। বলা হচ্ছে, বিজেপির এক কার্যকর্তা ওই মহিলার মোবাইল ফোন পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। উঁহু…মোবাইলের জন্য মোবাইল নেওয়া নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্যই এই ছিনতাই।
গত সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লির করলবাগ থেকে গ্রেফতার হন জাতীয় স্তরের বিজেপি নেতা তথা আরএসএস প্রচারক অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আর অন্য কিছু নয়। এক মহিলা বিজেপি কর্মীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেছেন তিনি। সময় মতো বিয়ে করাটা কে বলবেন অপরাধ? কিন্তু একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে ওই মহিলাকে শাঁসালো পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি না কি ওই মহিলাকে আরও অনেক নেতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও বাধ্য করেছেন।
আকবর থেকে অমল, ভায়া সঞ্জয়- সব ঘটনার প্রকৃত সত্য প্রকাশ করবে আইন-আদালত। ফলে সে সব নিয়ে বাড়তি মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু কতকটা একই ধরনের অভিযোগ উঠছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতিকে নিয়েও। এখানে কোনো অভিযোগকারিণীর হদিশ এখনও মেলেনি। পুরোটাই সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকের পোস্টে ঘুরছে সে অভিযোগ। সেখানে মন্তব্য পড়ছে। কেউ না করলেও অবশ্য কিছু যায়-আসে না!