অপরাধীদের একজনও শাস্তি না পেয়ে পার পাবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উরিতে সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক বেস ক্যাম্পে জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে সরব প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। হামলার নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
হামলার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদী দেশ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “এরকম দেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত”। রাজনাথের কথায়, “হামলার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে জঙ্গিরা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত ছিল”।
রাজনাথের কিছু পরেই প্রধানমন্ত্রী নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বলেন, “এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। দেশকে আমি আশ্বস্ত করছি, যারা এই হামলায় যুক্ত তারা সবাই শাস্তি পাবে। কেউ পার পাবে না”। এর পর মোদী লেখেন, “উরিতে শহিদ সেনাদের স্যালুট জানাচ্ছি। দেশের প্রতি তাঁদের অবদান কখনও ভুলব না। জওয়ানদের শোকগ্রস্ত পরিবারকে সমাবেদনা জানাই।”
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, এ ধরনের আক্রমণের কাছে ভারত কখনোই মাথা নোয়াবে না। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের মদতকারীদের সব রকম কৌশল বানচাল করে দেবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, উপত্যকার সুস্থিতি নষ্ট করার আর একটা প্রয়াস এটা। দুই দেশের শত্রুতার মধ্যে পড়ে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয় উপত্যকার মানুষদের।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী উরির হামলাকে জাতীয় বিবেকের উপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। এই হামলাকারীদের এবং এদের পিছনে যে শক্তি কাজ করছে তাদের কড়াভাবে মোকাবিলা করতে হবে। হামলার ঘটনায় নিহত জওয়ানদের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ। অন্যদিকে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, “আগে পাকিস্তানকে বিশ্বাস করে আমরা খুব ভুল করেছি। এখন একটাই উপায় রয়েছে, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া। সরকারের উচিত পাকিস্তানের সাথে শাড়ি, বিরিয়ানি, শাল, মিষ্টির কূটনীতি বন্ধ করা”।
অন্যদিকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করার বার্তা দেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, “ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পাকিস্তানের উচিত সীমান্তে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করা। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে কখনোই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এই সমস্যা একমাত্র সব অংশীদারের সাথে আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে।”
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।