ওয়েবডেস্ক: কেউ বলেছিলেন তাঁরা মু্ম্বইয়ের হোটেলে রয়েছেন। আবার কেউ এমনও অভিযোগ করেছিলেন, শাসক দলের বিধায়কদের ‘অপহরণ’ করে নিজেদের দলে টানতে চাইছে বিজেপি। বিশেষ করে ২ নির্দল বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহারের পর সেই ধারণা ক্রমশ বদ্ধমূল হয়। যদিও বুধবার বিকালে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে সম্পূর্ণ স্বস্তি দিয়ে ঘরে ফিরলেন ৫ কংগ্রেস বিধায়কই।
কংগ্রেসে-জেডিএস সরকারের কয়েক মাসের অতিক্রা্ন্ত হওয়ার পরই কর্নাটকের রাজনীতি উত্তাল ‘অপারেশন লোটাস’ নিয়ে। জোট সরকারের দুই শরিক দলের অভিযোগ, বিজেপি তাদের দলীয় বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে সরকার ভেঙে দিতে চাইছে। এমন অভিযোগ আরও বেশি করে শক্তমাটি পায় কংগ্রেসের ৫ বিধায়কের খোঁজ না মেলায়। গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই ওই ৫ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জল্পনা ছড়ায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁদের দল ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তবে বুধবার বিকাল পর্যন্ত খবর, ‘নিখোঁজ’ ৫ জনই আপাতত ফিরে এসেছেন।
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই গত মঙ্গলবার সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেন ২ নির্দল বিধায়ক। কিন্তু তিন কংগ্রেস বিধায়ক ফিরে আসায় সাময়িক স্বস্তি মিলে যায়। কিন্তু ২ জনের ভূমিকায় রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। বুধবার জানা যায়, সেই ২ বিধায়কও গুটি গুটি পায়ে ঘরেই ফিরে এসেছেন। এ দিন শাসক দলের সভাকক্ষের কাছেই খুঁজে পাওয়া যায় কংগ্রেস বিধায়ক ভিমা নায়েককে। তাঁর সতীর্থ আনন্দ সিং গতকালই ফিরেছেন।
এ দিন সাংবাদিকদের সামনে নায়েক বলেন, দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁর মোবাইলের জন্য। তাঁর মোবাইলটি সুইচ অফ হয়ে গিয়েছিল। যদিও বিধায়কের এমন বক্তব্যে যথোপযুক্ত খুশি হতে পারেনি তাঁর দল।
যদিও গত সোমবার কংগ্রেস অভিযোগ করে তাঁদের পাঁচ বিধায়ককে ভাঙানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ এবং সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণায় জমে উঠেছে কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্য রাজনীতির এই প্রেক্ষাপট বদলে যায় কি না সেটাই দেখার।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।