দেশ
মোদী সরকার ২০২২ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে প্রত্যেককে একটি করে বাড়ি দেবে: অমিত শাহ
ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ১০ কোটিরও বেশি সাশ্রয়কর মূল্যের আবাসন তুলে দিয়েছে, বললেন অমিত শাহ।

খবর অনলাইন ডেস্ক: অমদাবাদের শিলাজে একটি প্রায় এক কিমি দীর্ঘ ওভারব্রিজের উদ্বোধনে অংশ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আগামী ২০২২ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে সক্ষম হবে।
দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি
শাহ বলেন, “আমাদের বিজেপি সরকার যে ভাবে দেশের গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহুরে এলাকায় আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে, আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে, ২০২২ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশের প্রত্যেকের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ১০ কোটিরও বেশি সাশ্রয়কর মূল্যের আবাসন তুলে দিয়েছে”।
১৩ কোটিকে গ্যাস সিলিন্ডার
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে উজ্জ্বলা যোজনায় ১৩ কোটি পরিবারকে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে। আমাদের সরকার প্রতিটা গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। এখন আমরা ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেকটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি”।
সবার বাড়িতে পানীয় জল
তিনি আর সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমার পূর্ণ বিশ্বাস পরের লোকসভা ভোটে যখন বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তখন দেশে এমন একটিও বাড়ি থাকবে না, যেখানে জলের সংযোগ নেই”।
ক্রসিংমুক্ত রেলপথ
এ দিন তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অমদাবাদের থালতেজ-শিলাজ রেলপথের উপর একটি ওভারব্রিজের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন গুজরাতের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের এক লক্ষ রেল ক্রসিং তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমরা গুজরাত রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমান ভাগে ব্যয় বহনের পরিকল্পনায় ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। ২০২২ সালের পর দেশে একটিও জনহীন রেল ক্রসিং থাকবে না”।
আরও পড়তে পারেন: আরও এক দফায় ‘দুয়ারে সরকার’
দেশ
এক দিনে প্রায় ৫ হাজার সক্রিয় রোগী বাড়ল মহারাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের শেষ কয়েকদিনের করোনা-গ্রাফ নতুন করে সতর্কতামূলক ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুক্রবার সকালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পার হল ১৬ হাজারের গণ্ডি, অন্য দিকে শুধুমাত্র মহরাষ্ট্রেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ল হাজার পাঁচেক!
নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৯১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪ হাজার ২৭৮ জন। বর্তমানে দেশে ১.৪১ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, এর মধ্যে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ভারতে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২৫। মৃত্যুহার ১.৪২ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে।
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি এ দিন ফের ১২ হাজারের উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৭৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৮০ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.১৭ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার ২-এর কাছাকাছি
দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক সংক্রমণের হারের বড়োসড়ো পরিবর্তন ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭টি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৯ শতাংশ।
এ দিকে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ২১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.১৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে নতুন করে সংকট!
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা রইল আট হাজারের উপরেই। বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৭০২। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কমলেও মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।
অন্যদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৪ জন। ফলে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪ হাজার ৯০২।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা-পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ রইল দু’শোর মধ্যেই। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক এবং ছত্তীসগঢ়ে যে হারে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এই সর্বশেষ পরিসংখ্যান।
আরও পড়তে পারেন: নতুন আক্রান্ত দু’শোর মধ্যেই! কিছুটা হলেও স্বস্তি পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিসংখ্যানে

নয়াদিল্লি: শুক্রবার ভারত বন্ধে শামিল হয়েছে ব্যবসায়ী এবং কৃষক সংগঠনগুলি। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, নতুন ই-বিল এবং জিএসটি সংশোধনের প্রতিবাদে এ দিনের বন্ধ চলছে।
কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর ডাকা এই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সংগঠন ও বেশ কিছু কৃষক সংগঠন। দেখে নেওয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট-
*কৃষকদের শান্তিপূর্ণ ভাবে বন্ধ পালনের আহ্বান জানাল সংযুক্ত কিসান মোর্চা। একটি বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের সমস্ত কৃষকদের প্রতি আমাদের আবেদন, শান্তিপূর্ণ ভাবে সমর্থনের মাধ্যমে ভারত বন্ধকে সফল করে তুলুন”।
*সকাল ৬টা শুরু হয়েছে ভারত বন্ধ। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
*বাণিজ্যিক বাজারগুলি আজ বন্ধ থাকবে এবং সারা দেশ জুড়ে দেড় হাজার শহর এবং শহরতলিতে এ ধরনের বাজারগুলিতে ধরনা অনুষ্ঠিত হবে।
*ইতিমধ্যেই ভারত বন্ধকে সমর্থন করেছে অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তারা এ দিন সারা দেশে পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
*প্রায় আট কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভারত বন্ধে অংশ নিতে পারেন। এর সঙ্গে দেশের প্রায় ১ কোটি পরিবহণ ও ক্ষুদ্র শিল্প ও মহিলা উদ্যোক্তারাও এতে অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আপডেট আসছে…
আরও পড়তে পারেন: ব্যয় বেড়েছে পরিবহণে, এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম
দেশ
দৈনিক আক্রান্ত ফের ১৬ হাজারের বেশি, ১০টি রাজ্যে বাড়ল সক্রিয় রোগী
শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৪,২৬০।

খবর অনলাইন ডেস্ক: পর পর দু’দিন ফের ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা রইল ১৬ হাজারের উপর। পাশাপাশি দু:শ্চিন্তার কারণ বাড়াচ্ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও।
একটি বেসরকারি সূত্র জানায়, বুধবার নতুন করে ১৬,৭৩৮ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ফের ১৬,৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি দেশের ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শেষ সাতদিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ফের এক বার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
১৫ হাজারের কাছাকাছি বেড়েছে সক্রিয় রোগী। যার ফলে মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এখন দেড় লক্ষেরও বেশি। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সংক্রমণের গতিবিধির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কারণ আক্রান্ত এবং সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীর তুল্যমূল্য বিচার করেই এই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পাওয়া যায়।
কোথায় কত বাড়ল সক্রিয় রোগী
১৮-২৪ ফেব্রুয়ারি সময়কালে ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এগুলির মধ্যে প্রথম তিনটি রাজ্য-
মহারাষ্ট্র: ২১,৩৫৮
মধ্যপ্রদেশ: ৪০৭
কর্নাটক: ৩৭৯
অন্যদিকে, মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ৬০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে মহারাষ্ট্র। সেখানে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৪,২৬০। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা রয়েছে আট হাজারের উপরেই। এ দিন মহারাষ্ট্রের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৭০২।
কেরলে এই সংখ্যা ৫১,৮৭৯। পাশাপাশি নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে কেরলে। আগের দিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের উপরে থাকলেও এ দিন তা ৩,৬৭৭।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা-পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ রইল দু’শোর মধ্যেই। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক এবং ছত্তীসগঢ়ে যে হারে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এই সর্বশেষ পরিসংখ্যান।
আরও পড়তে পারেন: নতুন আক্রান্ত দু’শোর মধ্যেই! কিছুটা হলেও স্বস্তি পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিসংখ্যানে
-
প্রযুক্তি2 days ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
রাজ্য3 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা
-
দেশ3 days ago
প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া নেই, কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এখনও জনপ্রিয় পিনারাই বিজয়ন
-
উঃ ২৪ পরগনা3 days ago
নিত্যানন্দের আবির্ভাবতিথি উপলক্ষ্যে মহোৎসব খড়দহে, ৭ মার্চ ১০০ মহিলা খোলবাদক নিয়ে নগরপরিক্রমা