দেশ
মেট্রোর জন্য কাটা হবে ২,৬০০ গাছ, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পরিবেশসংগ্রামীরা

মুম্বই: পরিবেশ রক্ষা করতেই হবে। কোনো মতেই এত সংখ্যক গাছ কাটতে দেওয়া যাবে না। তাই এগিয়ে এলেন মুম্বইয়ের পরিবেশসংগ্রামীরা। হস্তক্ষেপ করার জন্য সরাসরি চিঠি পাঠালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে।
মুম্বইয়ের অ্যারে অঞ্চলটি ‘গ্রিন ট্র্যাক্ট’ হিসেবে পরিচিত। এখানেই মেট্রো প্রকল্পের একটি কাজ হাতে নিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। ২৩ হাজার ১৩৬ কোটি টাকার কোলাবা-বান্দ্রা মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের অনেকটা টাকাই দিচ্ছে একটি জাপানি সংস্থা। কারশেড তৈরি করার জন্য বাছা হয়েছে এই অ্যারে অঞ্চলটি।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের
কারশেডের জন্য যে ৩০ একর জায়গা ঠিক করা হয়েছে, সেখানে অন্তত ২,৬০০টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া রয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকারও এই প্রকল্পের হয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এতেই ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ এবং পরিবেশসংগ্রামীরা। সরাসরি জাপানের হস্তক্ষেপ দাবি করে জাপানের দূতাবাসে একটি চিঠি দিয়েছেন জেভিয়ার্স কলেজের অধায়ক অবকাশ যাদব-সহ আরও অনেকে। ইংরেজিতে লেখা এই চিঠিটি একটি এনজিও জাপানিতে অনুবাদও করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছেও ওই চিঠির একটা কপি পাঠানো হয়েছে। আপাতত জাপানের দূতাবাসে জাপানি আধিকারিকদের নিজেদের বিরোধিতার কথা জানাবেন অবকাশরা। এমনকি কোনো কিছুতেই কোনো কাজ না হলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও দরবার করার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।
দেশ
কৃষি আইন: অবশিষ্ট সদস্যদের সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন কমিটি গঠনের আর্জি কৃষক সংগঠনের
চার সদস্যের কমিটি গড়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন একজন। বাকিদেরও সরিয়ে এ বার নতুন কমিটি গঠনের আবেদন!

নয়াদিল্লি: বিতর্কিত কৃষি আইন খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এক সদস্য। বাকিদেরও অপসারণ করে নতুন কমিটি গঠনের আর্জি নিয়ে শনিবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল একটি কৃষক সংগঠন।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন লোকশক্তি নামের কৃষক সংগঠনটি জানিয়েছে, “সমন্বয় রেখে কাজ করতে পারেন এমন সদস্যদের নির্বাচন করুন”। তাদের অভিযোগ, এই কমিটি নতুন কৃষি আইন পর্যালোচনা করলে স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের নীতি লঙ্ঘন হবে। কারণ চার সদস্যের কমিটিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা “ইতিমধ্যে এই আইনগুলিকে সমর্থন করেছেন”।
কমিটিতে কারা?
নতুন তিন কৃষি আইনের পর্যালোচনায় গত মঙ্গলবার কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটিকে কৃষি আইনের বিভিন্ন দিক এবং কৃষকদের মতামত খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কমিটিতে ছিলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাতি, ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (মান) সভাপতি ভূপিন্দর সিং মান, আন্তর্জাতিক নীতি বিষয়ক কমিটির প্রধান প্রমোদ জোশি এবং ক্ষেতারি সংগঠনের অনিল ঘনাওয়ান্ত।
তবে নির্ধারিত চার সদস্যের কমিটি থেকে বৃহস্পতিবার সরে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের সভাপতি ভূপিন্দর সিং মান। তিনি বলেছেন, কমিটিতে তাঁকে মনোনীত করার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তবে কৃষকদের স্বার্থে কোনো মতে আপস না করার জন্যই তিনি পদত্যাগ করছেন।
কী বলা হল আবেদনে?
এ বার ওই অবশিষ্ট তিন সদস্যকে সরিয়ে নতুন কমিটি গঠনের আবেদন জানাল কৃষক সংগঠনটি।
ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন লোকশক্তি আইনজীবী এপি সিংয়ের মাধ্যমে দায়ের করা হলফনামায় শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেছে, “এই তিন সদস্যকে কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। পারস্পরিক সম্প্রীতির ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরির জন্য নতুন সদস্য নিয়োগ করা দরকার”।
বলা হয়েছে, “দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বর্তমান সদস্যদের নিয়োগে স্বাভাবিক ন্য়ায়বিচারের নীতি লঙ্ঘিত হতে চলেছে। কারণ, তাঁরা ইতিমধ্যেই নতুন কৃষি আইনগুলিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের কথা কী ভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে শুনবেন”?
কেন কমিটি গঠন?
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেছেন, “আইন বাতিল করে দেওয়া একটা বিকল্প হতেই পারে। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আইন বাতিল করা যায় না। তাই একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। কৃষি আইন নিয়ে যাঁরা সমস্যার সমাধানে সত্যিকারের আগ্রহী, তাঁরা সকলেই কমিটির মুখোমুখি হবেন। কাউকে শাস্তি দেবে না কমিটি। কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত মতামত চাই। তারা নিজেদের আইনজীবীর মাধ্যমে কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্যকে তুলে ধরুক”।
শীর্ষ আদালত বলেছে, কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রথম বৈঠক করবে। প্রথম সভার দিন থেকে দু’মাসের মধ্যে প্রস্তাব জমা করবে। সরকার, কৃষক-সহ অন্য়ান্য অংশীদারদের সঙ্গেও কথা বলবে কমিটি।
আরও পড়তে পারেন: কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটি থেকে সরলেন ভূপিন্দর সিং মান
দেশ
কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিলেন সেরাম কর্ণধার, কোভ্য়াক্সিনের বিরূপ ফলাফলে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস ভারত বায়োটেকের
চলছে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। তারই মধ্যে এই টিকার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা টিকাকরণ। ভারতে তৈরি দু’টি ভ্য়াকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে এই টিকাকরণে। তবে সেরামের (SII) তৈরি কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে তেমন কোনো সমালোচনা না থাকলেও ভারত বায়োটেকের (Bharat BioTech) কোভ্যাক্সিন (Covaxin) নিয়ে বিতর্ক এখনও সমানে অব্যাহত।
কোভ্যাক্সিনের এখনও তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। এমন পরিস্থিতিতেই এই টিকাকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। যা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
প্রথম ডোজ নিলেন সেরাম কর্ণধার
পুনে-ভিত্তিক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) এ দিন নিজেদের তৈরি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজটি নিলেন।
টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে আদর লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকাকরণের সূচনা করেছেন, এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। কোভিশিল্ড এই ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার অংশ। এটার সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার কথা সবার কাছে তুলে ধরতে আমি নিজেও ভ্যাকসিন নিলাম”।
ক্ষতিপূরণের আশ্বাস ভারত বায়োটেকের
কোভ্য়াক্সিন নেওয়ার জন্য শর্তগুলিতে সম্মতি জানাতে ‘স্ক্রিনিং অ্যান্ড কনসেন্ট ফর্ম’-এ স্বাক্ষর করতে হচ্ছে। এই ফর্মটিতে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে তোলার প্রমাণ মিলেছে।

একই সঙ্গে সংস্থা টিকা-প্রাপকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদি টিকা দেওয়ার পরে কোনো বিরূপ ঘটনার খবর পাওয়া যায় এবং সেটা ভ্যাকসিনের জন্যই ঘটে থাকে, তা হলে ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেবে সংস্থা।
আরও পড়তে পারেন: প্রয়োজনে সংস্থার কাছ থেকে কিনে প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকার আশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দেশ
রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রথম টিকা নিলেন বিজেপি সাংসদ, তৃণমূল বিধায়ক
শনিবার শুরু হয়েছে দেশব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচি।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় টিকাকরণ অভিযানের প্রথম দিনেই টিকা পেলেন।
উত্তরপ্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মা স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে এ দিন টিকা পেয়েছেন। তিনি পেশাগত ভাবে চিকিৎসক। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দিন সকাল ১১টায় নয়ডা সেক্টর-১৭-এর একটি হাসপাতালে করোনা টিকা নিয়েছেন মহেশ।
টিকা দেওয়ার পর ৬১ বছর বয়সি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আধঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় হাসপাতালে।
তিনি টুইটারে লেখেন, “বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক জন চিকিৎসক হিসেবে আমিও টিকা পেয়েছি। আমি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছি। এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আপনারও নেওয়া উচিত”।
টিকা পেলেন তৃণমূল বিধায়ক
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কেও টিকা দেওয়া হয়। রোগীকল্যাণ সমিতির অংশ হিসাবে তাঁকে টিকা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কাটোয়া হাসপাতালের সুপার নবারুণ গুপ্তা জানান, “রোগীকল্যাণ সমিতির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের নাম টিকাকরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। তাই উনি আজ টিকা নিলেন”।
আরও এক তৃণমূল বিধায়ক টিকা পেয়েছেন। ভাতারে টিকা নেন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল। এ দিন টিকা পেয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। তাঁরা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য।
নেওয়ার কথা ছিল আরও এক বিধায়কের
আলিপুরদুয়ারে প্রথম করোনা টিকা প্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তবে বিতর্কের পর টিকা নিচ্ছেন না বলেই জানান সৌরভ।
আরও পড়তে পারেন: প্রয়োজনে সংস্থার কাছ থেকে কিনে প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকার আশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
-
রাজ্য6 hours ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ1 day ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
কলকাতা2 days ago
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়