অদম্য জেদ আর লড়াইয়ের নতুন নাম — আদিবা আনাম। মহারাষ্ট্রের যবতমাল জেলার এক ভাড়া বাড়িতে বড় হয়ে ওঠা এই তরুণী আজ গোটা রাজ্যের গর্ব। কারণ ২০২৪ সালের UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ১৪২তম র্যাঙ্ক, এবং হতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম মহিলা IAS অফিসার।
আদিবার বাবা আশফাক আহমেদ একজন অটো-রিকশা চালক। পাশাপাশি তিনি একজন কবিও। কঠিন আর্থিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও, তিনি ও তাঁর স্ত্রী মেয়ের পড়াশোনায় কোনও রকম বাধা আসতে দেননি। আদিবা স্থানীয় সরকারী স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু স্বপ্ন দেখেছেন বড় হওয়ার — দেশের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার।
আদিবার এই সাফল্য কেবল তাঁর একার নয়, এটি দেশের সেই সমস্ত তরুণ-তরুণীদের প্রেরণা যারা প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হন না। ছোট শহরের এক মুসলিম মেয়ের এই সাফল্য প্রমাণ করে, পরিশ্রম আর অধ্যবসায় থাকলে কোনও স্বপ্নই অসম্ভব নয়।
আদিবা জানান, “আমি কখনও হাল ছাড়িনি। পরিবার পাশে ছিল, আর নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। এই পথ সহজ ছিল না, কিন্তু সম্ভব ছিল।”
আজ গোটা দেশ তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছে। সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর গল্প। অনেকেই বলছেন, আদিবা এখন শুধুমাত্র আইএএস নন, তিনি আশার আরেক নাম।