আমরোহা (উত্তরপ্রদেশ): জাতীয় স্তরের নেটবল খেলোয়াড় শুমাইলা জাভেদের ‘অপরাধ’ তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাই ফোনেই তিন তালাক দিয়েছেন তাঁর স্বামী। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাসিন্দা শুমাইয়া এখন থাকছেন তাঁর বাপের বাড়িতে। তিনি চান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন।
Amroha: Shyumla Javed,national netball champion says her husband gave #TripleTalaq after she gave birth to a girl pic.twitter.com/odiIHmZvQs
— ANI UP (@ANINewsUP) April 23, 2017
একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটেছে আগরায়। ২২ বছর বয়সি আফরিন জন্ম দিয়েছেন যমজ কন্যাসন্তানের। তার পরই তিনি তাঁর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর পান। প্রথমে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে, তার পর তাঁর ফোনে একটি মেসেজ আসে।
তিন তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক সামনে আসে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সে সময় শায়রা বানো নামে উত্তরাখণ্ডের এক মহিলা, এ ভাবে বিচ্ছেদ ঘটানোর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি তিন তালাক, বহুগামিতা-সহ মুসলিম সমাজের কিছু রীতি নিষিদ্ধ করারও আবেদন করেন। একই ধরনের আরও দু’টি মামলা এখন শীর্ষ আদালতে রয়েছে। যেখানে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, পোস্টকার্ড ব্যবহার করে তালাক দেওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। তবে শুধু এগুলোই নয়, সাম্প্রতিক কালে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে তালাক দেওয়ার নজিরও দেখা গেছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান হল, তিন তালাক প্রথা ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড অবশ্য মনে করে, এই রীতি মুসলিম শরিয়া আইন নির্দেশিত। এতে বিচারব্যবস্থার কিছু বলার থাকতে পারে না।
তিন তালাক ও বহুগামিতার অধিকার, ধর্ম পালনের অধিকারের অন্তর্ভুক্ত কি না, তা বিচার করার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস খেহর। গরমের ছুটির মধ্যেই ওই মামলার বিচার করবে শীর্ষ আদালত।