সালটা ১৯২৩-২৪। তখনও ওতোপ্রতভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যতম কান্ডারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তখন একজন সাংবাদিক রূপেই সংবাদপত্রে লেখালেখি করছিলেন। যদিও সেই সময়কালেই বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্বে নিযুক্ত হন তিনি। যার হাত ধরে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন তিনি বাংলার মহান জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস যখন কলকাতা পৌর সংস্থার মেয়র হন তখন তার অধীনে কর্মরত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সালটা ১৯২৪। চিত্তরঞ্জন দাসের এমন কিছু গুন ছিল যা আকৃষ্ট করেছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মত আদর্শবাদী তরুণকে। অবশেষে তার হাত ধরেই তিনি প্রবেশ করলেন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক গুরু চিত্তরঞ্জন দাস সেই সময় বাংলায় আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের মুখপাত্র। সেই সময় সুভাষচন্দ্র বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন সেই সঙ্গে সঙ্গে চিত্তরঞ্জন দাশের প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার সম্পাদকের ভূমিকা পালন করেন।
১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাস যখন কলকাতার মেয়র, ঠিক তখন নেতাজি কলকাতা পৌর সংস্থার প্রধান নির্বাহী কার্যকর্তা। ঠিক তার এক বছর পর সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয় মান্দালয়ের কারাগারে।১৯২৭ সালে সেখান থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপর শুরু হয় আসল যুদ্ধ। দেশকে স্বাধীন করার লক্ষে জেল থেকে মুক্তি পাবার পর জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়ে জহরলাল নেহেরুর সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের বার্ষিক সভার আয়োজন করেন তিনি। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং। যদিও তার কিছুদিন পরেই আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য জেলে পাঠানো হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে। ১৯৩০ সালে নির্বাচিত হন কলকাতার মেয়র হিসেবে।