নয়াদিল্লি: সোমবার থেকে কার্যকর হল নতুন ফৌজদারি আইন। নতুন ফৌজদারি আইন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এক হকারের বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের হয়।
রাস্তায় সাধারণের চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এক হকারে বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয় বলে মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ। এফআইআর-টি নতুন ফৌজদারি আইনের ২৮৫ ধারার অধীনে দায়ের করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, “কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর দখলে থাকা সম্পত্তির মাধ্যমে অন্যের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করেন অথবা অন্য কোনও ব্যক্তির বিপদ, বাধা বা আঘাতের কারণ হন, তা হলে শাস্তিস্বরূপ তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। যা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে”। সেই ধারাতেই দিল্লির ওই হকারের বিরুদ্ধেএফআইআর দায়ের হল।
এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্ত মূল রাস্তার ধারে একটি অস্থায়ী দোকানে তামাকজাত দ্রব্য এবং জল বিক্রি করছিলেন। যে কারণে পথচারীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছিল। আশেপাশে টহলরত পুলিশকর্মীরা ওই হকারকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু পুলিশকর্মীদের কথা অগ্রাহ্য করে নিজের মতোই বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। এখন থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনেই সমস্ত এফআইআর দায়ের হবে। তবে ১ জুলাইয়ের আগে নথিভুক্ত মামলাগুলির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেগুলি ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি আইন এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের আওতীয় বিচারধীন থাকবে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সবমিলিয়ে মোট ৩৫৮টি বিভাগ রয়েছে। যেখানে নতুন ধরনের ২১টি অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪১টি অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের মেয়াদ এবং ৮২টি অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা বৃদ্ধি এবং ২৫টি অপরাধের জন্য ন্যূনতম শাস্তি প্রবর্তন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমলের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসেডিওর এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন তিনটি আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম এনেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: রাজ্যে হঠাৎ বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম, কারণটা কী? কমার সম্ভাবনা আছে কি?