ইটানগর: অরুণাচলপ্রদেশে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দল জেডিইউ-র ছয় বিধায়ক নাম লেখালেন বিজেপিতে। ফলে ৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভায় জেডিইউ-র দিকে রইলেন মাত্র একজন বিধায়ক।
এমনিতে বিহারের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে কম আসন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নীতীশ। নিজের দলের বিধায়ক সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২০১৫ সালের তুলনায় ২৮টি আসন কমেছে জেডিইউ-র। সেই ধাক্কা সামলে না উঠতেই ফের এক ধাক্কা এল পদ্মশিবিরের দিক থেকে।
যাঁরা দল ছাড়লেন
যে ছয় বিধায়ক জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন হায়েং মাংফি, জিক্কে টাকো, ডোংরু সিওঙ্গজু, তালেম তাবোহ, ক্যাঙ্গোং টাকু এবং দোর্জি ওয়াংডি খর্মা। এ ছাড়া পিপলস পার্টি অফ অরুণাচলের এক বিধায়ককে নিয়ে অরুণাচল বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮।
কেন দল ছাড়লেন
অরুণাচল বিজেপির প্রধান বিয়ুরাম ওয়াহগে (Biyuram Wahge) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডুর (Pema Khandu) নেতৃত্বে উন্নয়ণমূলক কর্মকাণ্ড মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।
বিজেপির বিশ্বাসঘাতকতা?
ছয় বিধায়কের দল বদলের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ তুলেছেন নীতীশের ঘনিষ্ঠরা। জেডিইউ-র জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকের সময় বিষয়টি তাঁরা উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।
অরুণাচলে বিজেপি সরকারের শরিক নয় জেডিইউ। কিন্তু বিহারে তারা এক সঙ্গে সরকার চালাচ্ছে। বিজেপির সমর্থনেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ফিরে পেয়েছেন নীতীশ। এমন পরিস্থিতিতে দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার ঘটনায় চরম বিচলিত জেডিইউ নেতৃত্ব।
ছবি গেল পাল্টে
উত্তরপূর্বের রাজ্য অরুণাচলে সাতটি আসন জয় এবং ৪১টি আসন নিয়ে বিজেপির পরেই দ্বিতীয় স্থান অর্জনের করে জেডিইউ অরুণাচলপ্রদেশের স্বীকৃত রাজ্য দল হয়ে উঠেছিল।
এই পরিসংখ্যানের উপর ভর দিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল জেডিইউ। তবে এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে বলেন, “রাজ্যে আমরা বিজেপি সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানাব। এমনকী বিরোধী দলের মর্যাদা পেলেও আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ বিরোধী হয়েই থাকব”।
আরও পড়তে পারেন: রাজ্য সরকারকে তোপ নরেন্দ্র মোদীর! তৃণমূল বলছে, ভোটের কথা ভেবেই বার্তা
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।