নয়াদিল্লি: আগামী ১ জুলাই থেকে দেশ জুড়ে নয়া শ্রম আইন চালু করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে কর্মীদের বেতন, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প এবং কাজের সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে।
নতুন নির্ধারিত শ্রম বিধিতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে, যার ফলে কাজের সময় বৃদ্ধি, পিএফ অবদান এবং কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতন হ্রাস পাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
কাজের সময়
শ্রম ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে ৪৪টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনের মধ্যে ১৫টিকে বাতিল করে বাকি ২৯টিকে নিয়ে আসা হয় চারটি শ্রমবিধিতে। এই চার শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের দৈনিক কাজের সময় বেড়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। নতুন আইন অনুযায়ী, সংস্থাগুলি কাজের সময় দিনে ৮-৯ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করতে পারবে।
এক সপ্তাহে কর্মদিবস কমিয়ে চার দিনে নামিয়ে আনা হলেও সাপ্তাহিক মোট কাজের ঘণ্টা প্রভাবিত হবে না। নতুন শ্রম বিধিতে প্রতি সপ্তাহে মোট ৪৮ ঘণ্টা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে বাড়বে সাপ্তাহিক ছুটির সংখ্যাও। এমনকী, সপ্তাহে তিন দিন ছুটিও মিলতে পারে। কর্মীদের সাপ্তাহিক ওভারটাইমের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ ঘণ্টা থেকে বেড়ে হতে পারে ১২৫ ঘণ্টা।
হাতে পাওয়া বেতন
নতুন শ্রমবিধি অনুযায়ী, ভাতার পরিমাণ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে ৫০ শতাংশে। আবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের অবদানকে বেসিক ওয়েজের অংশ হিসাবে গণনা করা হবে। যার মধ্যে বেসিক পে এবং মহার্ঘ ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রভিডেন্ট ফান্ড ও আয়করে পরিমাণ হ্রাস করার জন্য নিয়োগকারী মজুরিকে অনেক বেশি ভাগে ভাগ করে নিচ্ছেন। নতুন শ্রমবিধিতে মোট বেতনের ৫০ শতাংশের নির্ধারিত অনুপাতে প্রভিডেন্ট ফান্ড অবদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বর্তমানে বেসিক পে, ডিয়ারনেস এবং অন্যান্যা ভাতার উপর নির্ভর করে পিএফ-এর অংশীদারিত্ব নির্ণয় করা হয়। তবে নতুন বিধি কার্যকর হলে কর্মীর হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমবে এবং নিয়োগকারীর পিএফ দায়বদ্ধতা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে নিয়োগকারীও কর্মীর বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের পথ ধরবে।
আরও পড়তে পারেন:
মাসে দেড় হাজার টাকায় শিক্ষক! তাও আবার অনার্স এবং বিএড-সহ, বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক
সোমবার থেকেই খুলছে সরকারি স্কুল, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
সনিয়া, মমতা এবং শরদ পওয়ারকে ফোন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর
মহারাষ্ট্রে বিসর্জনের বাজনা, শিন্ডেকে নেতা নির্বাচিত করে চিঠি ৩৭ বিধায়কের
দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে বিরোধী শিবিরে জোরদার হানা বিজেপি-র, আরও বেশি ক্রস ভোটিংয়ের সম্ভাবনা