সম্মতি ছাড়া সন্ধ্যা ৭টার পর মহিলাদের রাখা যাবে না কর্মক্ষেত্রে, নয়া নিয়ম উত্তরপ্রদেশে

0
yogi adityanath
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রতীকী ছবি

লখনউ: চাকরিজীবী মহিলাদের জন্য নতুন পদক্ষেপ করল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শনিবার তাদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, মহিলারা লিখিত অনুমতি না দিলে সন্ধ্যা ৭টার পর এবং সকাল ৬টার আগে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে আসতে বাধ্য করা যাবে না।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের শ্রম এবং কর্মসংস্থান দফতরের যুগ্ম সচিব সুরেশ চন্দ্র জানান, মহিলাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে তাঁদের দিয়ে কোনো কাজ করানো যাবে না। তা বাড়ি থেকেই হোক কিংবা অফিসে এসে। আর মহিলারা যদি রাতে অফিসে এসে কাজ করতে ইচ্ছুক হন, তা হলে তাঁদের জন্য যাতায়াত এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে নিয়োগকারী সংস্থাকে।

যোগী সরকারের তরফে নারী কল্যাণমূলক প্রকল্পে ৭৫.৫০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে, এ কথা আগেই জানানো হয়েছিল। নয়া ঘোষণায় রাজ্য প্রশাসন জানাল, মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একেবারে জেলাস্তরে ‘সাইবার সহায়তা’ বিভাগ চালু করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

এরই পাশাপাশি, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ‘কাজের সময়ও’ মেপে দেওয়া হল। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বক্তব্য, এই নিয়মের অন্যথা হলে তা শ্রম আইন লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি, রাজ্যের আরও নির্দেশ, কাজের জায়গায় চার জনের বেশি মহিলাকর্মী থাকলে তবেই তাঁদের অফিসে ডাকা যাবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্মক্ষেত্রে মহিলাকর্মীদের সংখ্যার বিচারে উত্তরপ্রদেশের স্থান দেশের তালিকায় নীচের দিকে। একেবারে শেষে রয়েছে বিহার। ওই রাজ্যে চাকরিজীবীদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ মহিলাকর্মী। তালিকায় বিহারের ঠিক আগে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (১৭ শতাংশ)।

আরও পড়তে পারেন:

লিভারপুলকে হারিয়ে ১৪তম বার চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ী রেয়াল মাদ্রিদ

কান-এ বাঙালির জয়, শৌনক সেনের তথ্যচিত্র ‘অল দ্যাট ব্রিদস’ পুরস্কার জিতল

বিশ্বের প্রথম ন্যানো ইউরিয়া প্ল্যান্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, কৃষিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল ইফকো

জুন মাসে ক’দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ তালিকা

জোর করেই ফাঁসানো হয়েছিল আরিয়ানকে, এমনই মনে করছে সিট

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.