হিমাচলে জাতীয় সড়কে ফের বড়োসড়ো ধস, অপরিকল্পিত উন্নয়নই কি ডাকছে বিপদ?

0

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ফের ধস নামল হিমাচল প্রদেশে। সোমবার নতুন এই ধসের ঘটনাটি ঘটে শিমলা জেলার রামপুরের কাছে জেয়োরিতে। এই বড়োসড়ো ধসে ফলে নেমে বন্ধ হয়ে যায় শিমলা-কিন্নৌর জাতীয় সড়ক। এই সড়কটি ভারত-চিন সীমান্তে শিপকী লা পর্যন্ত যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় মানুষ, পর্যটকদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কাছেও এই রাস্তার গুরুত্ব অপরিসীম।

এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে রামপুরের এসডিএ এবং পুলিশবাহিনী পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ভিডিওয়ে দেখা গিয়েছে, পাহাড় থেকে পাথরের বিরাট বিরাট চাঁই গড়িয়ে নীচে নামছে। ধুলোয় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। ধসের ঠিক মুখে পড়লেও একটু জন্য বেঁচে গিয়েছে কয়েকটি গাড়ি।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অগস্টও মান্ডি জেলায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায় চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক। ওই মাসেই কিন্নৌর জেলায় ধসের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৩ জনের। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ছোটোবড়ো ধসের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে।

ধসের ঘটনা বেড়েছে ১১৬ শতাংশ

হিমাচলপ্রদেশে চলতি বর্ষার শুরু থেকেই দফায় দফায় ধস ও হড়পাবান দুশ্চিন্তায় ফেলেছে পরিবেশবিদদের। একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত বর্ষার তুলনায় এই মরসুমে হিমাচলে ধস নামার ঘটনা বেড়েছে ১১৬ শতাংশ এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো বিপর্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১২১ শতাংশ।

গত ১৩ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত হিমাচলপ্রদেশে ৩৫টি বড়োসড়ো ধস নেমেছে। গত বছর যে সংখ্যাটা ছিল ১৬। ২০২০ সালে এই পার্বত্য অঞ্চলটিতে ৯টি হড়পাবান দেখা যায়। এ বছর যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে।

অপরিকল্পিত উন্নয়নই কি কারণ?

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হিমাচলের পার্বত্য এলাকা এমনিই অত্যন্ত ভঙ্গুর। খাড়া ঢাল, দুর্বল মাটির বাঁধন এবং অতিরিক্ত বর্ষার কারণে অঞ্চলটিতে ক্ষয়ের মাত্রা খুবই বেশি। তার উপরে পরিবেশকে উপেক্ষা করে উন্নয়নের পথে হাঁটতে গিয়ে বিপর্যয় আরও বাড়ছে।

পরিবেশ আইন না মেনে নানাবিধ প্রকল্পের জন্য কেটে ফেলা হচ্ছে অরণ্য। এর জন্য সরকারেরও ব্যর্থতাকেও দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন জায়গায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। রাস্তাকে চার লেনের করার কাজ হচ্ছে। সবই হচ্ছে প্রকৃতির ওপরে অত্যাচার চালিয়ে।

অপরিকল্পিত এই উন্নয়নই হিমাচলের এই ধসবৃদ্ধির ঘটনার পেছনে দায়ী বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

আরও পড়তে পারেন

হিন্দু-মুসলমানদের পূর্বপুরুষ এক, দাবি করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত

ব্যাপক পতন পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংক্রমণে, তবে সোমবারের রীতি মেনেই বাড়ল সংক্রমণের হার

দিল্লি-দর্শনের তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি দ্রষ্টব্য, বিধানসভা-লালকেল্লা সুড়ঙ্গপথ

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী

বিজ্ঞাপন