দেশ
কেন্দ্রীয় বাজেটের এক ডজন স্বল্প পরিচিত তথ্য

ওয়েবডেস্ক: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই অবসরে জেনে নেওয়া যাক কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কিত স্বল্প প্রচলিত কয়েকটি তথ্য-
১. স্বাধীন ভারতের প্রথম বাজেট পেশ করা হয় ১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বর।
২. প্রথম বাজেট পেশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আর কে শন্মুখম চেট্টি।
৩. ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র ইংরাজিতে পেশ করা হতো বাজেট।
৪. ১৯৫৫-৫৬ সালে প্রথমবার ইংরাজির সঙ্গে হিন্দিতেও মুদ্রিত হয় বাজেট প্রতিবেদন।
৫. সব থেকে বেশি সংখ্যক, ১০টি বাজেট পেশ করেন মোররাজি দেশাই, এর পরের স্থানে পি চিদাম্বরম (আটটি)।
৬. প্রণব মুখোপাধ্যায়, যশবন্ত সিনহা, ওয়াইবি চবন, সিডি দেশমুখ সাতটি করে বাজেট পেশ করেন।
৭. ১৯৭৩-৭৪ অর্থবর্ষের বাজেট ব্ল্যাক বাজেট হিসাবে অভিহিত হয়। সে বার ৫৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি দেখানো হয়।
৮. ২০১৬ সাল পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে বাজেট পেশ হতো, ২০১৭ সাল থেকে তা হয় ১ ফেব্রুয়ারি।
৯. ১৯৭০-৭১ অর্থবর্ষে প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসাবে বাজেট পেশ করেন ইন্দিরা গান্ধী। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।
১০. ৯২ বছর ধরে কেন্দ্রীয় বাজেট এবং রেল বাজেট পৃথক ভাবে পেশ করা হতো। ২০১৭ সালে তা সংযুক্ত হয়।
১১. নির্মলা সীতারমন প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসাবে পূর্ণ-সময়ের (একটি আর্থিক বছরের) বাজেট পেশ করেন ২০১৯ সালে।
আরও পড়ুন: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ, জেনে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১২. ২০১৯-এ প্রথম বার ব্রিফকেসের পরিবর্তে লাল শালুতে মুড়ে বাজেট প্রতিবেদন সংসদে নিয়ে যান নির্মলা।
দেশ
মুম্বইয়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পেছনেও চিনের হাত, মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে তীব্র চাঞ্চল্য
১২ অক্টোবর আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে থমকে যায় আরবসাগরের তীরে মায়ানগরী

খবরঅনলাইন ডেস্ক গত বছর অক্টোবরে মুম্বইয়ের আচমকা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে চিনের হাত রয়েছে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ‘রেকর্ডেড ফিউচার’।
ওই সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে শুধুমাত্র সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘর্ষ নয়, ভারতকে প্রতিহত করতে ভারতের মাটিতেও জাল বিস্তার করছে চিন। তার জন্য ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পেট্রো শোধনাগার এমনকি, পরমাণু শক্তিকেন্দ্রগুলিকেও নিশানা করছে তারা। প্রযুক্তি-ক্ষতিকারক ভাইরাস ছড়িয়ে সেগুলিকে কাবু করে ফেলছে তারা।
কোভিডের ঘায়ে মহারাষ্ট্র যখন জর্জরিত, সেই সময় ১২ অক্টোবর আচমকাই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে থমকে যায় আরবসাগরের তীরে মায়ানগরী। শহরের ২ কোটি বাসিন্দা তো বটেই, সেখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা, শিল্প এবং শেয়ারবাজারেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। স্টেশনে স্টেশনে থমকে যায় ট্রেন।
কোভিড রোগীদের ভেন্টিলেটর চালু রাখতে জরুরি ভিত্তিতে চালু করতে হয় জেনারেটর। কল-কারখানায় বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন। তার জেরে বিপুল ধস নামে শেয়ারবাজারে। সেই সময় জানা গিয়েছিল, কালওয়াতে সেন্ট্রাল লাইনে গ্রিড বসে যাওয়াতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে মায়ানগরী।
বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু ওইটুকু সময়ের মধ্যেই ঘণ্টায় প্রায় ২৫৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামার পর তখন সাইবার হানার বিষয়টি উঠে এসেছিল। তবে পরবর্তীকালে তা নিয়ে আর কোনো তথ্যই সামনে আনা হয়নি।
যদিও ‘রেকর্ডেড ফিউচার’-এর দাবি, চিন সরকারের মদতে সে দেশের হ্যাকাররাই ওই বিভ্রাট ঘটিয়েছিল। তারা জানিয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঘিরে ২০২০-র ৫ মে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি বেধে যায় ভারতীয় সেনার। তার পর দফায় দফায় সেখানে সঙ্ঘর্ষে জড়িয়েছে দু’পক্ষ। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। প্রাণহানি ঘটে চিনা বাহিনিতেও।
সেই সময়ই হাতে নয়, চিন সরকার ভারতকে কার্যত ‘ভাতে’ মারার সিদ্ধান্ত নেয়। তার জন্য দেশের শিল্পের প্রাণকেন্দ্র মুম্বইকেই বেছে নেয় তারা। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, সীমান্তে সঙ্ঘাত অব্যাহত থাকাকালীন দেশের প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলির প্রযুক্তিতে ঝাঁকে ঝাঁকে চিনা ভাইরাস (ম্যালওয়্যার) ঢুকতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, ওই একই দিনে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন এবং একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রযুক্তিতেও ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাদের।
তবে এদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটিকেই সক্রিয় (অ্যাক্টিভেট) করা হয়েছিল। তাই একটি নির্দিষ্ট রাজ্যেই বিভ্রাট সীমাবদ্ধ ছিল। এক সঙ্গে সবক’টিকে সক্রিয় করে দিলে গোটা দেশ অন্ধকারে ডুবে যেত।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী
টিকা নিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।

খবর অনলাইন ডেস্ক: সোমবার কোভিড -১৯ টিকার (COVID-19 vaccine) প্রথম ডোজ নিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)। এ দিনই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ৬০ বছরের বেশি এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণ।
টিকা নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রীরা
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিহারেই একে বারে বিনামূল্যে টিকাকরণ হবে। এমনকি বেসরকারি হাসপাতালেও এ ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে, রাজ্য সরকার টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে ”।
অন্যদিকে নবীন পট্টনায়েক টুইটারে লিখেছেন, “আজ কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছি। এ কথা সবাইকে জানাতে পেরে খুশি। আমাদের বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁরা সময় মতো করোনা প্রতিরোধের জন্য এই ভ্যাকসিন এনে দিয়েছেন”।
তিনি আরও লিখেছেন, “ওড়িশাকে কোভিডমুক্ত করে তুলতে যোগ্য নাগরিকরা এই টিকা নিতে এগিয়ে আসুন”।
টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
এ দিনই কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
টিকা নেওয়ার পর তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধটাকে চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা মিলে যে ভাবে খুব দ্রুত শক্তিশালী করলেন তা এক কথায় অনবদ্য।” দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়ে এর পর মোদী বলেন, “আমার আবেদন, যাঁরা যোগ্য তাঁরা টিকা নিন। সবাই একসঙ্গে ভারতকে দ্রুত করোনামুক্ত করি।”
টিকার জন্য নাম নথিভুক্তিকরণ
৬০ বছরের বেশি এবং কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য সোমবার থেকে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন। টিকাকরণের রিয়েল টাইম ম্যানেজমেন্ট নিরীক্ষণের জন্য কো-উইন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সকাল ৯টা থেকে কো-উইন২.০ সরকারি প্ল্যাটফর্মে ভ্যাকসিনের জন্য নিজের নাম নথিভুক্তিকরণ শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমেও নাম রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। যে সমস্ত নাগরিকের কাছে যথাযথ প্রমাণপত্র রয়েছে, তাঁরা দেশের যে কোনো জায়গা থেকে এবং যে কোনো সময় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
আরও পড়তে পারেন: করোনা-টিকার প্রথম ডোজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দেশবাসীর উদ্দেশে দিলেন বার্তাও

খবরঅনলাইন ডেস্ক সোমবার দেশে প্রবীণ নাগরিকদের করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তার আগে একটি দুর্দান্ত খবর এল অরুণাচল প্রদেশ থেকে। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে এখানে। আর তাই রাজ্যটি এখন করোনামুক্ত।
অরুণাচলে মোট করোনারোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৩৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১৬ হাজার ৭৮০ জন। বাকি ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেনি, এমনই জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক।
রাজ্যে আসা ব্যক্তিদের ওপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তেমনই টিকাকরণ প্রক্রিয়াও চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রায় ৩৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহে চার দিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে করোনামুক্ত হয়েছিল আন্দামান ও নিকবোর দীপপুঞ্জও। কিন্তু তার পরে নতুন করে বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। সে কারণে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬ জন। অরুণাচল প্রদেশেও নতুন করে কোভিড-আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যেতেই পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। সে কারণে তারা সতর্কও।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
স্বস্তি দিয়ে দেশে নতুন সংক্রমণ নামল ১৫ হাজারের ঘরে, তবে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও আরও বৃদ্ধি
-
রাজ্য2 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ভ্রমণের খবর2 days ago
দোলেই ভোট! পর্যটন ব্যবসায়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় হতাশ রাঢ়বঙ্গ
-
ফুটবল2 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল