জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে ভারতীয় ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহারের সুযোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে দাবি।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানের ৫৯ জন সন্ত্রাসবাদী সক্রিয় রয়েছে, যারা হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম), জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-এর সদস্য। এর পাশাপাশি, স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীর সংখ্যা মাত্র ১৭ জন, যার মধ্যে জম্মু অঞ্চলে ৩ জন এবং কাশ্মীর উপত্যকায় ১৪ জন সক্রিয় রয়েছে।
বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের, ২১ জন জইশ-ই-মোহাম্মদের এবং ২১ জন লস্কর-ই-তইবার সদস্য বলে জানা গেছে।
এদিকে, মনিপুরে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে ৯৯০টি অস্ত্র আত্মসমর্পণ করা হয়েছে। একই সময়ে ১১,৫২৬ রাউন্ড গুলি, ৩৬৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২৩০টি বোমা এবং ১০টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) উদ্ধার করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট ৭২ জন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২২ জন স্থানীয় এবং ৫০ জন বিদেশি। ২০২২ সালে ১৮৭ জন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা হয়, যেখানে ১৩০ জন স্থানীয় এবং ৫৭ জন বিদেশি।
তবে, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত হিংসার ঘটনা ও স্থানীয়দের জঙ্গি কার্যকলাপে নাম লেখানোর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এখন জঙ্গিদের কার্যকলাপ জম্মু অঞ্চলে স্থানান্তর করেছে।