সোমবার সংসদে কংগ্রেসের নেতৃত্বে হওয়া বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠক থেকে দূরে থাকল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দিল যে, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সংসদে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে কংগ্রেসের সঙ্গে একমত নয় পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, তারা সংসদে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, তহবিলের অভাব এবং মণিপুরের অশান্তির মতো ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তুলতে চায়। তবে, কংগ্রেস শুধুমাত্র আদানি ইস্যুতে জোর দিতে চাওয়ায় তারা বৈঠকে যোগ দেয়নি।
তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “আমরা ইন্ডিয়া ব্লকে থাকলেও কংগ্রেসের নির্বাচনী সঙ্গী নই। তাই বৈঠকে যোগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। যখন জানতে পারলাম, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো এজেন্ডায় থাকবে না, তখন বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সংসদ অধিবেশনের বেশ কয়েকদিন ধরে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগীয় অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। কংগ্রেস লোকসভায় আজও অধিবেশন মুলতুবি করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তৃণমূলের পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা চেয়েছে।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, শীতকালীন অধিবেশনে বাংলার ইস্যুগুলোকে অগ্রাধিকার দেবে দল। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। বাংলার বকেয়া পাওনা, মণিপুরের অশান্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনা চাই। কংগ্রেস কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।”
এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, “আমরা চাই সংসদ চলুক। শুধুমাত্র একটি ইস্যুতে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাই না। আমরা সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে জবাবদিহি করতে বাধ্য করব।”
তৃণমূল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, মণিপুরে চলমান অশান্তি নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনা চাওয়া হবে এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে জরুরি পদক্ষেপের দাবি করা হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক কেন্দ্র, বিধানসভায় প্রস্তাব মমতার