ওয়েবডেস্ক: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru) ১৪ নভেম্বর ১৮৮৯ সালে এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে তিনি প্রয়াত হন। সেই হিসেবে ২০২১ সালের আজকের দিনটিতে (বৃহস্পতিবার) তাঁর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।
মহাত্মা গান্ধীর (Mahatama Gandhi) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে শামিল হন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়ে পণ্ডিত নেহরু ন’বার কারাবরণ করেছিলেন। প্রথম বার কারাবরণ করেন ১৯২৯ সালে। ব্রিটিশরা তাঁকে মোট ৩,২৫৯ দিন কারাগারে বন্দি করেছিল। অর্থাৎ নিজের জীবনের প্রায় ন’বছর কারাগারের ভিতরেই কাটাতে হয়েছিল তাঁকে।
নেহরু কারাগারে থাকাকালীন একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন- ‘টুওয়ার্ডস ফ্রিডম’। এ ছাড়া আরও অনেক বই লিখেছিলেন নেহরু। ‘দ্য ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’, ‘গ্লিম্পেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি’ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। মেয়ে ইন্দিরাকে লেখা তাঁর পত্রগুচ্ছ বইয়ের আকারে প্রকাশিত হয়। যার নাম ‘লেটারস ফ্রম আ ফাদার টু হিজ ডটার’।
ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদটি নেহরু লিখেছিলেন। যেখানে ভারতকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ জাতি’ হিসাবে মর্যাদা দিয়েছিল। তিনি ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞাগুলি নির্মূল করতে এবং ভারতকে সংযুক্ত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।
জওহরলাল নেহরু তাঁর কোটে প্রতিদিনই একটি গোলাপ লাগাতেন। পরবর্তী সময়ে সেই গোলাপের চলতি নামই হয়ে যায় নেহরু গোলাপ। তাঁর দল কংগ্রেস জানিয়েছে, প্রয়াত স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশেই প্রতিদিন কোটে গোলাপ লাগানো ছিল তাঁর নিয়মিত একটি কাজ। ১৯৩৮ সালে জওহরলালের স্ত্রী কমলা নেহরুর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই প্রতিদিন গোলাপ ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত হয় তাঁর।
জওহরলালের দিদি বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। বোন কৃষ্ণা ছিলেন একজন খ্যাতিমান লেখক। নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধীই (Indira Gandhi) ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
১৯৬৪ সালের ২৭ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জওহরলালের। প্রায় ১৫ লক্ষ ভারতবাসী তাঁদের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছিল।
আরও পড়তে পারেন: অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি কাজী নজরুলের জন্মজয়ন্তীতে লাখো প্রাণের শ্রদ্ধা
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।