নয়াদিল্লি: ‘নোটবন্দি’র পর ‘ফুয়েলবন্দি’। আগামী ১৪ মে থেকে প্রতি রবিবার দেশের একাংশে সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে। শুধু তা-ই নয়, ১৫ মে থেকে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স-এর মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া এই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অন্য কোনো গাড়িকেই তেল দেওয়া হবে না। তা ছাড়া সাধারণ মানুষ ‘ফুয়েলবন্দি’র প্রথম স্বাদ পাবেন ১০ মে। সে দিন ‘নো পারচেজ ডে’ ঘোষণা করেছে কনসর্টিয়াম অব ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলার্স’ (সিআইপিডি)।
সিআইপিডি-র প্রেসিডেন্ট এ ডি সত্যনারায়ণ সোমবার বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি বাঁচানোর যে ডাক দিয়েছেন, তাতে সাড়া দিয়েই তাঁরা রবিবার পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু আদতে জানা গেল, নিজেদের দাবিদাওয়া পূরণে চাপ সৃষ্টি করার জন্যই সিআইপিডি-র এই সিদ্ধান্ত। ডিলারদের প্রধান দাবি হল ‘মার্জিন মানি’ বাড়ানো। তাঁদের দাবি, অপূর্ব চন্দ্র কমিটি যে মার্জিন দেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেটা দিতে হবে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি কিলোলিটার পেট্রোলে ৩৩৩৩ টাকা এবং প্রতি কিলোলিটার ডিজেলে ২১২৬ টাকা মার্জিন পাওয়ার কথা ডিলারদের। কিন্তু ডিলাররা পান যথাক্রমে ২৫৭০ টাকা এবং ১৬২০ টাকা।
তবে অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইপিডিএ) প্রেসিডেন্ট অজয় বনশল জানিয়েছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্তে সিআইপিডিকে সমর্থন করছেন না। অতএব দিল্লি-সহ ২১টি রাজ্যে এই নিয়ম চালু হচ্ছে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুতেই সিআইপিডি-র পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এই চারটি রাজ্যেই চালু হবে নতুন নিয়ম। তবে ‘মার্জিন মানি’ বাড়ানোর দাবি নিয়ে এআইপিডিএ-ও যে খুব শিগগির একই পথে হাঁটতে পারে, এমন আভাস দিয়েছেন শ্রী বনশল।
তেল বিপণন সংস্থাগুলো এখনও তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি, কনসর্টিয়ামের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।