উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। ইলাহাবাদ হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার হাথরসে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা নামে এক ধর্মগুরুর ডাকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্নে শেষ হলেও, শেষে বিপদ ঘটে যায়। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার সময় হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং ঠেলাঠেলির কারণে অনেকে একে অপরের ওপর পড়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। কেউ বলেছেন, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ঘেরা ছিল এবং পাখার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে সবাই হাঁসফাঁস করছিলেন। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়োহুড়ি করে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। যার ফলে এই বিপত্তির হয়। আবার কেউ বলেছেন, প্যান্ডেলের আসা-যাওয়ার গেটটি অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ছিল, যার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, অনুষ্ঠানস্থলের সামনে একটি বড় ড্রেন ছিল, যার ওপর কাঠের পাটাতন ছিল। ভিড়ের চাপে সেই পাটাতন ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
কে এই ‘বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’? যাঁর ‘সৎসঙ্গে’ এসে হাথরসে প্রাণ গেল ১০৭ জনের
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। বুধবার সকালে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই ঘটনায় সৎসঙ্গের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই এফআইআরে ভোলে বাবার নাম নেই। পুলিশি তদন্তের মধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন গৌরব দ্বিবেদী নামে এক আইনজীবী।