দেশ
রাজস্থানে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে পাইলট-গহলৌত দ্বন্দ্ব, এ বার কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে
গত বছর গহলৌত-পাইলট দ্বন্দ্ব এতটাই চরমে পৌঁছেছিল যে সচিন পাইলটের বিদ্রোহের জেরে রাজস্থানের শাসক গোষ্ঠীর কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর জুলাই রাজস্থানে কোনো রকম ভাবে ঠ্যাকনা দেওয়া হয়েছিল সচিন পাইলট-অশোক গহলৌতের মধ্যে দ্বন্দ্বকে। কিন্তু বছর ঘুরতেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব। এ বার কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে।
কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে গোটা রাজ্য জুড়ে জনসভা আয়োজনের জন্য দলকে নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এর পর কংগ্রেসের জনসভা ঘিরেই দুই শিবিরে দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানে কৃষক সমাবেশে এসেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি প্রদেশ নেতাদের নির্দেশ দেন যে, কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রাজ্য জুড়ে যত বেশি সম্ভব জনসভা করতে হবে। এর পরই গত শুক্রবার সচিন পাইলট জয়পুরে একটি বিশাল জনসভার আয়োজন করেন। কিন্তু সেই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত শিবিরের কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। তবে সচিন শিবিরের ‘বিক্ষুব্ধ’ ১৭ জন নেতার সবাই উপস্থিত ছিলেন।
পরের দিনই কংগ্রেসের জয়পুর শাখা একটি জনসভা করে। সেখানে আবার পাইলট-অনুগামী নেতারা গরহাজির ছিলেন। এর পরই রাজস্থান কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ফের রাজ্যের রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও দলের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেটা একদমই মানতে চাননি সচিন। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সচিন বলেন, “একদমই তা নয়। এটা দলেরই কর্মসূচি। দলে এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা সবাই কৃষকদের সমর্থনে জনসভা করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমি গোবিন্দ দোতাসারাকে (গহলৌত শিবিরের নেতা) আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য থাকতে পারেননি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করারও চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আটদিন আগে বলেও তাঁর সময় পাওয়া যায়নি।”
উল্লেখ্য, গত বছর গহলৌত-পাইলট দ্বন্দ্ব এতটাই চরমে পৌঁছেছিল যে সচিন পাইলটের বিদ্রোহের জেরে রাজস্থানের শাসক গোষ্ঠীর কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে আস্থা ভোটের ঠিক আগে সচিন শিবিরকে শান্ত করানো গিয়েছিল। তাতে অবশ্য রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। সচিন পাইলট তাঁর বিদ্রোহে ইতি টানায় আস্থা ভোটে টিকে গিয়েছিল রাজস্থান সরকার।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মহারাষ্ট্রে বাড়লেও পাঁচ দিন পর দেশে কমল দৈনিক সংক্রমণ, তবে সক্রিয় রোগী বেড়ে ফের দেড় লক্ষের ঘরে
দেশ
ফের লকডাউনের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত অভিবাসী শ্রমিকরা, কন্ট্রোল রুমে ফোনের পর ফোন ঝাড়খণ্ডে
গত বছরের মতো সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে কি? যদি তা জারি হয়, তা হলে রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে?


খবর অনলাইন ডেস্ক: সারা দেশে নতুন করে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত ঝাড়খণ্ড থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিবাসী শ্রমিকদের সুবিধায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। দায়িত্বে থাকা এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে আসা ফোনের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ঝাড়খণ্ডের একটা বিশাল অংশের মানুষ অন্য রাজ্যে রয়েছেন। তার উপর করোনার সংক্রমণ রুখতে আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে একাধিক রাজ্যে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে কন্ট্রোল রুমের প্রধান শিখা পঙ্কজ বলেন, “ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের কাছ থেকে আমরা প্রচুর ফোন পাচ্ছি। তাঁরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কী করবেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। একাংশের অভিবাসী শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ফিরে আসছেন। বেশির ভাগ শ্রমিক রয়েছেন মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ় এবং মহারাষ্ট্রে”।
গত বছরে করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন। সেই ভয়ঙ্কর দুর্দশার কথা ভুলবার নয়। সেই আতঙ্কই এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে অভিবাসী শ্রমিকদের। ওই আধিকারিক বলেন, “অভিবাসী শ্রমিকরা জানতে চাইছেন সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে কি না। যদি তা জারি হয়, তা হলে রাজ্য সরকার তাঁদের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে”।
ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে অভিবাসী শ্রমিকদের। সরকার তাঁদের জন্য পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁরা যদি আটকে পড়েন, রাজ্য সরকার তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করবে। কিন্তু এখনই তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। গত বছরের লকডাউনের মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে না। যে যেখানে আছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়মগুলো যেন মেনে চলেন।
ঝাড়খণ্ড সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ছ’টি ল্যান্ডলাইন এবং পাঁচটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। নম্বরগুলি হল 0651-2481055, 0651-2480058, 0651-2480083, 06512482052, 0651-2481037, 0651-2481188 (ল্যান্ডলাইন) এবং 9470132591, 9431336427, 9431336398, 9431336472, 9431336432 (হোয়াটসঅ্যাপ)।
আরও পড়তে পারেন: Corona Update: এই প্রথম দেশে একদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় এক লক্ষের ওপর বৃদ্ধি, একমাত্র স্বস্তি কম মৃত্যুহার
দেশ
এ বার ঘরে ঘরে কোভিড টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি, ৪৫ বছরের কম বয়সিরাও ভ্যাকসিন পেতে পারেন
ঘরে ঘরে করোনা টিকা! যে কোনো বয়সি মানুষকেই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রের।


খবর অনলাইন ডেস্ক: কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের পর দেশে এসেছে করোনার আরও একটি ভ্যাকসিন, স্পুটনিক-ভি। নতুন ভ্যাকসিন চলে আসার পরেই এ বার ঘরে ঘরে টিকা পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশের একাধিক সংস্থা ঘরে ঘরে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিন মাসের মধ্যে দেশের বৃহত্তর অংশের টিকাকরণ
করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যেই দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চলছে। গত ১৬ জানুয়ারি টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশি লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে। স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের পর এ বার টিকা নিয়ে ঘরে ঘরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের বৃহত্তর একটি অংশকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিকের মতে, ওই পরিকল্পনায় ৪৫ বছরের কম বয়সিদের জন্যেও টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
অনেকগুলি ওষুধ সংস্থাও এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। সংস্থাগুলি প্রস্তাবে বলেছে, মানুষের ঘরে ঘরে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচিতে তারাও শামিল হতে আগ্রহী। তবে ঘরে ঘরে টিকা পৌঁছে দিতে সংস্থাগুলি মাথা পিছু ২৫-৩৭ টাকা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত অনুমতি পায়নি কোনো সংস্থা
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কোনো সংস্থাকেই এ ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষকে যদি ঘরে বসে ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুধুমাত্র নিজের সরকারি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমেই এ কাজ করবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্র আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এ জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল তা যথাযথ ভাবে নেওয়া হয়েছিল।
আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকটি নতুন ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হবে। শীঘ্রই দেশের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো বয়সি মানুষকেই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করা হবে।
আরও পড়তে পারেন: Covid-19 Vaccine: অক্টোবরের মধ্যে আরও ৫টি কোভিড ভ্যাকসিন পাচ্ছে ভারত!
দেশ
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ করোনা পজিটিভ
মুখ্যমন্ত্রী যোগী নিজে টুইট করে তাঁর করোনা পজিটিভি হওয়ার খবর জানিয়েছেন।


খবর অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারী ছাড় দিল না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও। মঙ্গলবার তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী সেলফ-আইসোলেশনে রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী নিজে টুইট করে তাঁর করোনা পজিটিভি হওয়ার খবর জানিয়েছেন। এর আগে তাঁর অফিসের এক আধিকারিক, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং ব্যক্তিগত সচিবের করোনা হয়। এর পর থেকে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল। বুধবার তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে একাধিকবার রাজ্যে প্রচারে আসেন যোগী আদিত্যনাথ।
টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলি নজরে আসায় আমি পরীক্ষা করাই। সেই পরীক্ষায় আমার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আমি চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি এবং বাড়িতে সেলফ আইসোলেশন থাকছি।’’ লখনউ-এর বাড়িতেই তিনি থাকছেন।
এর পাশাপাশি, যারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন যোগী।
আরও পড়তে পারেন : বেসরকারি অফিসেও দেওয়া যাবে কোভিড-টিকা, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের