আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর, নারী সুরক্ষা ও অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে উত্তাল দেশ। সেই পরিস্থিতিতেই ১৫ অগস্ট লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় নারী সুরক্ষার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও তিনি সরাসরি আরজি কর কাণ্ডের উল্লেখ করেননি, তবে তাঁর বক্তব্যে স্পষ্টতই উঠে এসেছে এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষের অসন্তোষ এবং রাজ্য সরকারের উপর চাপ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে, তাতে জনগণ ক্ষুব্ধ। মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে রাজ্যকে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “সমাজ হিসাবে আমাদের মহিলাদের উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে গভীরভাবে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। দেশজুড়ে মানুষ ক্ষুব্ধ এই অত্যাচার নিয়ে। আমি এই ক্ষোভ বুঝতে পারছি। দেশের সমাজ ও রাজ্য সরকারকে গুরুত্ব সহকারে এই দায়িত্ব নিতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, অপরাধীদের মধ্যে ভীতি তৈরি করতে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “যখন নারীদের ওপর অত্যাচার হয়, তা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়, কিন্তু যখন অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়, তখন তা খবরে খুব কমই উঠে আসে। এই ভয় তৈরির জন্য শাস্তির প্রসারিত আলোচনা হওয়া জরুরি।”
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন। মোদীর এই মন্তব্য রাজ্য সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়াল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।