প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স’ – এই স্লোগানকে প্রায়শই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই ধারণার উদ্দেশ্য কাজের গতি বৃদ্ধি করা, জটিলতা কমানো এবং প্রশাসনিক সেবাগুলি সহজলভ্য করা।
জেরোধা সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথের সঙ্গে একটি পডকাস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, মিনিমাম গভর্নমেন্ট মানে কম মন্ত্রী বা কর্মচারী। তবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আমি স্কিল, কো-অপারেটিভ এবং ফিশারিজের জন্য আলাদা মন্ত্রক তৈরি করেছি। আমরা ৪০,০০০ বিধিগত জটিলতা কমিয়েছি যাতে কাজের গতি বাড়ে। ১,৫০০ পুরনো আইন বাতিল করেছি এবং অপরাধমূলক আইনও পরিবর্তন করেছি। এটাই আমার ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্সের ধারণা।”
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত প্রযুক্তিকে গণতন্ত্রান্তিক করার পথ দেখিয়েছে। মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডে আমি ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারি। সিলিন্ডার ভর্তুকির জন্যও একই সময়ে ১৩ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠাতে পারি। এটি একটি প্রযুক্তি-নির্ভর শতাব্দী। আমরা একটি ইনোভেশন কমিশন ও ইনোভেশন ফান্ড তৈরি করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “কুয়েতে একটি শ্রমিক কলোনিতে গিয়েছিলাম। একজন শ্রমিক আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর জেলায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কবে হবে। এ ধরনের আকাঙ্ক্ষাই ভারতকে ২০৪৭ সালে বিশ্বের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাবে।”
বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও যুদ্ধ সম্পর্কেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অবস্থান নিরপেক্ষ নয়, আমরা শান্তির পক্ষে। আমি রাশিয়া, ইউক্রেন, ইরান, প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েল—সকলের সঙ্গেই শান্তির পক্ষে পরামর্শ দিয়েছি। এর ফলে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “করোনা মহামারির সময়, আমাদের বিমানবাহিনীকে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে বলি। তারা শুধু আমাদের দেশের মানুষকেই নয়, প্রতিবেশীদেরও উদ্ধার করেছে। এটি কেবল সহানুভূতির বার্তা দেয় না, বরং আমাদের নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলে।”
‘আমি মানুষ, ভগবান নই,’ নিজের বক্তব্যে ‘ভুল’ প্রসঙ্গে প্রথম পডকাস্টে বললেন মোদী