ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফেরার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন সেখানে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করার পর তাঁর বক্তব্যের অধিকাংশ জুড়েই ছিল কেন্দ্রীয় সাধারণ বাজেট ২০১৯-এর ব্যাখ্যা। পাশাপাশি গত শুক্রবার পেশ হওয়া বাজেটের সমালোচকদেরও একহাত নিলেন।
সংসদে বাজেট পেশের ঠিক পর দিনই মোদী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, এই বাজেট নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের “পেশাদার হতাশাবাদী” বলা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কিছু লোক আছেন, যাঁরা বলছেন কেন সরকার এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে (৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি), কী প্রয়োজন, কেন এই সব কাজ করা হচ্ছে? এঁদের আসলে পেশাদার হতাশাবাদী বলা চলে”।
আরও বিশদে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “পেশাদার হতাশাবাদীরা সাধারণ মানুষের থেকে একেবারে আলাদা। যদি আপনি কোনো সমস্যায় একজন সাধারণ মানুষের কাছে যান, তবে তিনি আপনাকে সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করবেন। কিন্তু যদি আপনি সমাধান করার জন্য তাঁদের কাছে যান, তবে তাঁরা এটাকে হুমকিতে পরিণত করবে”।
বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছেন, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ভারত ৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতিতে পৌঁছবে। সেই লক্ষ্যেই চলতি ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ৭ শতাংশ জিডিপি লক্ষ্য মাত্রা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। গত বছর ওই লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৬.৮ শতাংশ। যদিও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, দাবিই সার। কী ভাবে দেশ ওই লক্ষ্যে পৌঁছাবে তার কোনো দিশা নেই এ বারের বাজেটে।
মোদী অবশ্য এ দিন দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, “বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও আজকের অবস্থানে নিজেদের পৌঁছাতে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, এখন সেই কাজটা করার সময় ভারতের”।