পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু না করায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিকে (AAP) তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, মঙ্গলবার তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে অসুস্থ জনগণের উপর এই নিপীড়ন অমানবিক।
এ দিন প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’ (PM-JAY) চালু করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় ৭০ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরা প্রতি বছর ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবেন। যাঁরা ইতিমধ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আছেন, তাঁরা অতিরিক্ত ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবেন। প্রায় ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিককে উপকৃত করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এক সময় মানুষের বাড়ি, জমি, গয়না বিক্রি করতে হতো চিকিৎসার খরচ চালাতে। চিকিৎসার খরচ শুনে গরিবের আত্মা কেঁপে উঠত। চিকিৎসা না পাওয়ার অসহায়তা তাদের মনের জোর ভেঙে দিত। এই অসহায়তা দূর করতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের জন্ম হয়। এই প্রকল্প থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, কারণ আমি আপনাদের সাহায্য করতে পারছি না। আপনাদের অসুবিধার কথা আমি জানি, কিন্তু আপনাদের রাজ্যের সরকারগুলি এই প্রকল্পে যোগ দেয়নি।”
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে রাজ্যের অসুস্থ মানুষের উপর রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ‘অত্যাচার’ করা মানবিকতার পরীক্ষায় ব্যর্থ। কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৬০ শতাংশ খরচ বহন করে, বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকারগুলি দেয়। তবে পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির নিজস্ব স্বাস্থ্য প্রকল্প রয়েছে, যা তারা কেন্দ্রের পরিকল্পনার চেয়ে আরও ভালো বলে দাবি করে।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন ভারতের স্বাস্থ্যনীতির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানান। প্রথমত, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যপরিষেবা, দ্বিতীয়ত সময়মতো হস্তক্ষেপ, তৃতীয়ত সাশ্রয়ী চিকিৎসা ও ওষুধ, চতুর্থত ছোট শহরগুলিতে উন্নত চিকিৎসার সুবিধা এবং পঞ্চমত উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। ভারত এখন একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্যপরিষেবার দিকে এগোচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এ দিন দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য ১২,৮৫০ কোটি টাকার প্রকল্পও উদ্বোধন করেন।