দেশ
প্রথম দিন ৩ লক্ষ! টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রথমে সারা দেশে তিন হাজার কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাকরণ চলবে। পরে এই সংখ্যা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সারা দেশের তিন হাজার কেন্দ্রে শুরু হবে করোনা টিকাকরণ। এই কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিকে রাজ্যে সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের সদস্য ডা. ভিকে পাল একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দেশব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন। প্রথম দিনে প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন। অনুষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ সূচি তৈরি হচ্ছে। প্রথমে তিন হাজার কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাকরণ চলবে। পরে এই সংখ্যা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হবে।
কেন্দ্র এর আগেই জানিয়েছে, প্রথম দফায় দেশের তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির করোনাযোদ্ধাদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। পরে আরও ২৭ কোটি মানুষের টিকাকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র।
ভিকে পাল বলেন, রাজ্যগুলির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে। এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। তাঁরাই পরবর্তীতে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার রোল মডেল হয়ে উঠবেন।
রাজ্যে এসেছে ৭ লক্ষ

ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার করোনা ভ্যাকসিন। সেগুলি ‘ইনসুলেটেড ভ্যান’-এ করে জেলায় জেলায় পাঠানোর কাজও চলছে। মধ্যে ৯৩,৫০০ ডোজ সংরক্ষণ করা হয়েছে কলকাতার জন্য।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, সারা দেশের মতোই আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপাতত সেরামের কাছ থেকে প্রতি ভায়াল ২০০ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড কিনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেগুলির মধ্যে থেকে ৫৬.৫ লক্ষ ভায়াল দেশের ১৩টি শহরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: পৌঁছাল সেরামের করোনা ভ্যাকসিন, কোন রাজ্য কত পেল
দেশ
হিন্দিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, হাতে পেয়ে ফেরালেন সাংসদ!
কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবেই অ-হিন্দিভাষীদের মধ্যে জোর করে সংস্কৃত এবং হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কৌশলের বাস্তবায়ন করছে না তো?

খবর অনলাইন ডেস্ক:গান্ধী শান্তি পুরস্কার (Gandhi Peace Prize)-এর জন্য পরামর্শ চেয়ে সাংসদকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু চিঠিটি হিন্দিতে লেখায় তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেল রবিবার।
জানা গিয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনাঙ্কিত চিঠিটি মাদুরাইয়ের সাংসদ সু ভেঙ্কটেসনকে (Su Venkatesan) পাঠান সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং (Prahlad Singh)। সাংসদ দাবি করেছেন, তিনি চিঠির বিষয়বস্তু বুঝতে পারেননি। তবে চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত একটি ফর্ম ছিল। সেটা ইংরেজিতে। ওই ফর্ম থেকে তিনি বুঝতে পারেন এটা গান্ধী শান্তি পুরস্কার সংক্রান্ত।
সাংসদ বলেছেন, “এর আগেও বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে হিন্দিতে পাঠানোর জন্য তিনি এর আগে বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছেন। সেই প্রতিবাদ লিখিত ভাবে নথিভুক্তও করেছিলেন। এটা সরকারি ভাষা বাস্তবায়ন আইনের (Official Language Implementation Act) লঙ্ঘন”।
ভেঙ্কটেসন মাদ্রাজ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে দুঃখ প্রকাশ করেছিল এবং নিশ্চিত করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ইংরাজিতে যোগাযোগ করা হবে।
তিনি বলেন, “ভারতের মতো বহু ভাষাভাষী এবং বিবিধ সংস্কৃতির দেশের কমপক্ষে মন্ত্রকের তো এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। আমার সন্দেহ হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবেই অ-হিন্দিভাষীদের মধ্যে জোর করে সংস্কৃত এবং হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কৌশলের বাস্তবায়ন করছে না তো? বিশেষ করে তামিলনাড়ুর মতো অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে”।
সু ভেঙ্কটেসন দাবি করেছেন, হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার এ ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার অনন্য ইতিহাস রয়েছে তামিলনাড়ুতে। এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে। যদিও মানুষ ক্লান্ত হবে না। তাঁদের পরিচয় এবং মহান সংস্কৃতি রক্ষার সংকল্পকে দুর্বল করার প্রয়ায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
আরও পড়তে পারেন: মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
দেশ
মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার দায় স্বীকার করল জঈশ-উল-হিন্দ
ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত এই সংগঠনটির নাম শোনা যায়নি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার দায় স্বীকার করল জঈশ-উল-হিন্দ নামক একটি সংগঠন। ‘টেলিগ্রাম’-এ মেসেজ পাঠিয়ে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। সম্প্রতি দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের পিছনেও এই সংগঠন দায় নিয়েছিল। যদিও ওই টেলিগ্রাম-বার্তাটির কোনো সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
জঈশ-উল-হিন্দের নামে যে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে, তাতে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। সেখানে লেখা হয়েছে, “আটকাতে পারলে আটকে দেখাও। দিল্লিতে তোমাদের নাকের ডগায় বিস্ফোরণ ঘটানোর সময়ও কিছু করতে পারোনি। নির্দেশ মেনে শুধু টাকা পাঠিয়ে দাও।”
নগদের বদলে টাকা বিটকয়েনে দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত থাকতে পারে, এখনও তেমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
গত শুক্রবার মুম্বইয়ে অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’র বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে বিস্ফোরক এবং ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়। গাড়ির ভিতর থেকে মেলে একাধিক নম্বর প্লেটও। এর মধ্যে অম্বানি পরিবারের নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ির নম্বরের হুবহু নেমপ্লেটও উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকেই অম্বানিদের বাড়ির নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত এই সংগঠনটির নাম শোনা যায়নি। ফলে, এই নামের আদৌ কোনো জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না গয়েন্দারা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বেড়েছে রাজস্ব ঘাটতি, জানুয়ারির শেষে পৌঁছেছে ১২.২৩ লক্ষ কোটি টাকায়

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবারের তুলনায় রবিবার ভারতে ফের কিছুটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। তবে সংক্রমণের হার এখনও বেশি বাড়েনি, যা কিছুটা স্বস্তির খবর। শনিবারের পর রবিবারও দেশে মোট সংক্রমণের অর্ধেকই ঘটেছে মহারাষ্ট্রে।
নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী রবিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৫২ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে ৩৯৯ জন। বর্তমানে দেশে ১.৪৮ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
দৈনিক সংক্রমণের হারের ওঠানামা
দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণ বাড়লেও এখনও সংক্রমণের হারের ব্যাপক ঊর্ধ্বগামী যাত্রা লক্ষ করা যায়নি। ফলে কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও ভারতের পরিস্থিতি ঠিকঠাকই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭২৩টি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২.১০ শতাংশ।
এ দিকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ২১ কোটি ৬২ লক্ষ ৩১ হাজার ১০৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.১৩ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন?
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৬২৩ জন। দেশে মোট সংক্রমণের অর্ধেকই ঘয়েছে এই রাজ্যে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে এখানে। বর্তমানে সেটি ১০ শতাংশে নীচে এসে গিয়েছে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭৯২ জন।
এ দিকে সংক্রমণের নিরিখে আরও যে দুই রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, তার মধ্যে পঞ্জাবে (৫৯০) সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় বাড়লেও মধ্যপ্রদেশে (৩৯০) দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে। ছত্তীসগঢ় (২৪০) এবং গুজরাতে (৪৫১) পরিস্থিতি মোটের ওপরে স্থিতিশীল।
এ ছাড়া, সংক্রমণের নিরিখে প্রথম থেকেই আরও যে কয়েকটা রাজ্য ওপরের সারিতে রয়েছে সেই তামিলনাড়ু (৪৮৬), কর্নাটক (৫২৩), পশ্চিমবঙ্গ (২১০), দিল্লি (২৪৩) এবং অন্ধ্রপ্রদেশে (১১৮) সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও কোভিড পরিস্থিতির খুব একটা নেতিবাচক পরিবর্তনও হয়নি।
সুস্থ হলেন ১২ হাজারের কম
দেশে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি অনেকটাই কমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৮ জন। এর ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৬৯ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.১০ শতাংশ।
মৃতের সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫১। মৃত্যুহার বর্তমানে রয়েছে ১.৪২ শতাংশ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
অবশেষে স্বস্তি, সংক্রমণের ধার কমতে শুরু করেছে কেরলে
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য16 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের