ওয়েবডেস্ক: গত জুনে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের যুবক তাবরেজ আনসারি। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কিন্তু পার পেয়ে গেলেন। কারণ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে মারের জেরে নয়, তাবরেজের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মোট বারো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গেই এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। সে কারণেই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা দিয়েছি। ওই ধারাতেও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাই আছে।” তাঁর কথায় দু’টো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জানিয়েছে তাবরেজের মৃত্যু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হয়েছে।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ের শেষে প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায় যে তাবরেজের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রিপোর্টে সন্দেহ হয় পুলিশ প্রশাসনের। যে কারণে তাবরেজের মৃত্যুতে আরও একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও একই কারণ জানা গেল। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রিপোর্টে যেমন ফলাফল আসবে, সেই অনুযায়ীই তাঁদের এগোতে হবে।
আরও পড়ুন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা দু’সপ্তাহ আগের তুলনায় কমেছে: মার্কিন প্রেসিডেন্ট
তবে ওই আধিকারিক আরও জানান, “আমি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নই। প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখে আমাদের সন্দেহ হয়েছিল বলেই তো দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন বাইক চুরির অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলায় তাবরেজ আনসারিকে নৃশংস ভাবে গণধোলাই দেওয়া হয়েছিল। মারধরের সময় তাঁকে দিয়ে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ও বলানো হয়। নেটদুনিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হলে, নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। পুলিশ তাঁকে সদর হাসপাতালে ভরতি করালে ২২ জুন সেখানেই মারা যান তাবরেজ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।