প্রশান্ত কিশোরের জনসুরাজ সংগঠনে যোগ দেওয়ায় প্রাক্তন মহিলা জেলা সভাপতি আশা জয়সওয়াল, ব্যবসায়ী সেলের জেলা সভাপতি শিব কুমার সাউ এবং সহকারী মুখপাত্র অজিত কুমার-সহ পাঁচজনকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেছে আরজেডি। এ ব্যাপারে রাজ্য সভাপতি বহিষ্কারের চিঠিও দিয়েছেন।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন গৌড়ডিহের মহম্মদ আফতাব আলম ও কাহালগাঁওয়ের পবন ভারতীও। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ব্যস্ত আরজেডি। এরই মধ্যে কোনো দলবিরোধী কাজ যাতে কর্মীদের মনে প্রভাব না ফেলে, সে দিকে তাকিয়ে সজাগ রয়েছে দল।
এদিকে দলের বেশ কিছু নেতা অন্য প্রতিষ্ঠানে সুযোগ খুঁজছেন বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগে নভগাছিয়া ও ভাগলপুরে সভা করেছিলেন জনসুরাজ সংগঠনের প্রধান প্রশান্ত কিশোর। জানা যায়, সেখানে ওই সভায় সক্রিয় ছিলেন বহিষ্কৃতরা। বিষয়টি দলের অন্য লোকজন জানতে পারেন। এরপর শুরু হয় তার তদন্ত।
শুধু কি তাই, ওই সংগঠনের বৈঠকে এঁরা সদস্যপদ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। জেলা সভাপতি চন্দ্রশেখর যাদব রাজ্য সভাপতির কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তিনি সবাইকে বহিষ্কার করেন। প্রাক্তন মহিলা জেলা সভাপতি আশা জয়সওয়ালের অতীতেও রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের কারণে তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মহিলা সেলের রাজ্য সভাপতি রিতু জয়সওয়াল। তাঁর জায়গায় জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সীমা জয়সওয়ালকে। পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আশা জয়সওয়ালের রাজনৈতিক সক্রিয়তাও কমে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে জেলা সভাপতি চন্দ্রশেখর যাদব বলেন, কারও বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপ বা শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘পিট্টু অ্যাম্বুলেন্স’, শ্বাসকষ্ট হলেই মিলবে অক্সিজেন