দেশ
একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ট্র্যাক্টর নিয়ে লালকেল্লায় ঢুকে পড়লেন কৃষকরা
লালকেল্লায় ট্র্যাক্টর নিয়ে ঢুকে পড়লেন আন্দোলনকারীরা!

নয়াদিল্লি: সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ট্র্যাক্টর মিছিলে যোগ দিতে দিল্লিতে পৌঁছালেন প্রতিবাদী কৃষকরা। ট্র্যাক্টর, ঘোড়া, ক্রেনে চড়ে দিল্লিতে ঢোকার সময় ব্যারিকেড ভাঙাকে কেন্দ্র করে একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাঁদের।
প্রতিবাদী কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে লালকেল্লার র্যামপার্টে ঢুকে পড়েন এবং ১৫ আগস্ট যেখানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা তোলেন, সেখানে তাঁদের হলুদ পতাকা তোলার চেষ্টা করেন। কৃষকদের সংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা অনেক কম ছিল। ফলে পুলিশ প্রতিবাদী কৃষকদের লালকেল্লায় ঢোকা আটকাতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ট্র্যাক্টর মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার কৃষক দিল্লিতে প্রবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যারিকেড ভাঙা এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া অভিযোগ উঠেছে, তেমন বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করার খবর পাওয়া গিয়েছে।
এ দিন সকালেই দিল্লি-হরিয়ানার গাজিপুর ও টিকরি সীমানায় ব্যারিকেড ভেঙে দেন কৃষকরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও বেঁধেছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। কেন্দ্রীয় দিল্লির আইটিওতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। উত্তরপূর্ব দিল্লিতে আবার পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেখানেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। সূত্রের খবর, সঞ্জয় গাঁধী ট্রান্সপোর্ট নগরে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর পশ্চিম অংশে দিল্লি এবং হরিয়ানার টিকরি সীমান্তে কৃষকদের অদমনীয় মনোভাবের কাছে হার মেনেছে পুলিশের বাধা। হাজার হাজার মানুষকে পতাকা হাতে মিছিল করতে দেখা গেছে, তাঁদের অনেকে ট্র্যাক্টরেও ছিলেন।
দিল্লির অক্ষরধামের একটি নাটকীয় ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ওভারব্রিজ থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে, আর রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা নিজেদের বাঁচাতে নিরাপদ জায়গা খুঁজছিলেন। মুকারবা চকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। নাঙ্গলৌই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, ইন্দ্রপ্রস্থ মেট্রো স্টেশন এবং গ্রিন লাইনের সমস্ত স্টেশনগুলির প্রবেশ এবং বাহির গেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সময়পুর বদলি, রোহিনী সেক্টর ১৮/১৯, হায়দরপুর বদলি মোড়, জাহাঙ্গির পুরী, আদর্শনগর, আজাদপুর, মডেল টাউন, জিটিবি নগর, বিশ্ববিদ্যালয়, বিধানসভা এবং সিভিল লাইনের ভিতরে ঢোকা এবং বেরনোর গেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিকেল গড়াতে চললেও এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ দিকে কৃষকদের প্যারেড শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরে আজ বিকেলে ২০টিরও বেশি ট্র্যাক্টর ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে। আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকাবাহী ট্র্যাক্টর চালিয়ে সেখানে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
আরও পড়তে পারেন: ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার নামল ১.২৫ শতাংশে
দেশ
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?
ব্যভিচারের আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের দু’বছর পরে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম?

ওয়েবডেস্ক: ‘ব্যভিচার’ সব সময়েই একটি বহুল চর্চার বিষয়। সেটা হতে পারে আইনি অথবা নৈতিক দিক থেকে। তবে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য নিয়মগুলি বেশ কিছু ক্ষেত্রেই আলাদা ছিল। এ দেশের পুরুষরা নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো অন্য কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারতেন। কিন্তু অনুরূপ পরিস্থিতিতে কোনো নারীর এই অধিকার ছিল না পুরনো আইনে। তবে ব্যভিচার আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের দু’বছর পরে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম?
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে একটা বড়ো অংশের মহিলা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পক্ষেই এবং তাঁদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যে মা হয়েছেন।
কী বলছে সমীক্ষা?
এই সমীক্ষাটি করেছে ফ্রান্সের বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ ‘গ্লিডেন’। এটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যা মহিলাদের জন্য তৈরি এবং মহিলারাই পরিচালনা করেন। বিশেষত নিরাপদ এবং বিচক্ষণ সম্পর্ক গড়ার হদিশ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে অ্যাপটি। বর্তমানে ভারতে এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ।
সমীক্ষকদের দাবি, সারা ভারত জুড়ে ৩০-৬০ বছর বয়সের শহুরে, শিক্ষিত এবং আর্থিক ভাবে স্বতন্ত্র মহিলাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে এই সমীক্ষায়। তাতে দেখা গিয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়ানো ৪৮ শতাংশ ভারতীয় মহিলা শুধু বিবাহিত-ই ছিলেন না, তাঁদের সন্তানও রয়েছে।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্ট বলা হয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া এমন ৬৪ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, যৌন সম্পর্কের ঘাটতির কারণেই তাঁরা এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন।
পুরুষরা আরও বেশি ব্যভিচারী?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ভালোবাসার সন্ধানে ৭৬ শতাংশ মহিলা শিক্ষিত এবং আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী ছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাশ্চত্যের নারীদের মধ্যে এ ধরনের ‘আনুগত্যহীন’ হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীর তুলনায় পুরুষরা আরও বেশি করে ব্যভিচারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। ‘হোয়েন ইউ আর দ্য ওয়ান হু চিটস’-এর লেখক ট্যামি নেলসন বলছেন, “মহিলারা শুধু আরও প্রতারণা করছেন তা নয়, বরং প্রায়শই এখান থেকে পালিয়ে যেতেও পারেন”।
২০২০ সালে গ্লিডেনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৫ শতাংশ মানুষই মেনে নিয়েছেন তাঁরা নিজেদের সঙ্গীকে প্রতারণা করেছেন। এঁদের মধ্যে মহিলার হার ৫৬ শতাংশ। ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি ১,৫২৫ জন বিবাহিত ভারতীয় নারী-পুরুষের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় ৪৮ শতাংশই স্বীকার করে নেন, একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করা সম্ভব।
হয়তো বা সংখ্যাতত্ত্বে বোঝানো যেতে পারে যে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ব্যভিচার বাড়ছে। তবে অন্য গবেষণাগুলির তথ্যের সাহায্যে সংখ্যার পরিবর্তনটি আনুগত্যহীনতা সম্পর্কে পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কী ভাবে?
আদতে পুরুষদের জন্য ‘ঐতিহ্য’গত ভাবে ছাড় থাকলেও মহিলাদের মধ্যে আনুগত্যহীনতা পুরোপুরি ‘নিষিদ্ধ’ ছিল। তবে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মত ভাবে জানায়, ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক, এবং ব্যভিচার আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। শীর্ষ আদালত বলে, “ব্যভিচারকে কিছু সামাজিক পরিস্থিতিতে কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেমন বিবাহ বিচ্ছেদ, কিন্তু তা কখনোই অপরাধমূলক বলে গণ্য হতে পারে না। ব্যভিচার নারীর নিজস্ব সত্তাকে আঘাত করে।”
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, স্বামীরা সে অর্থে স্ত্রীর প্রভু নন। এই ধারণা পাল্টানোর সঙ্গেই মহিলারা বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও লিঙ্গবৈষম্য ঘোচানোয় জোর দিচ্ছেন। আইনগত পরিবর্তন, মহিলাদের যৌনতা সম্পর্কে সচেতনতা এবং তাঁদের দেহের প্রতি নিজের অধিকার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ
আরও বেশি মহিলা প্রতারণা করছেন কি না, সম্ভবত সেটা আসল প্রশ্ন নয়। কিন্তু প্রশ্নটা হল, বিবাহিত দম্পতিদের কেন প্রতারণার প্রয়োজন? পুরুষরা বিশ্বজুড়ে মহিলাদের চেয়ে বেশি প্রতারণা চালিয়ে যান এবং এখনও তাঁদের বয়স বা অন্যান্য অবস্থান সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয় না। ইউএস জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে বলছে, ২০ শতাংশ পুরুষ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিপরীতে স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই হার ১৩ শতাংশ।
মোদ্দাকথা, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক ঘাটতি পূরণ। বৈবাহিক সম্পর্কে যেগুলিতে দু’জনেরই সমান অধিকার। ফলে ‘বিশ্বাসভঙ্গ’কে কারণ হিসেবে না দেখে অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন সমীক্ষকরা।
আরও পড়তে পারেন: শুধু স্ত্রী এবং সন্তানেরা নয়, ছেলের উপার্জনের ভাগিদার বাবা-মা, তাৎপর্যপূর্ণ রায় আদালতের
দেশ
ফের বাড়ছে উদ্বেগ! ৮টি রাজ্যেকে বিশেষ করোনা-পরামর্শ কেন্দ্রের
৬৩টি জেলা “উদ্বেগের কারণ” হয়ে উঠেছে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ফের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যান। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বিশেষ পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
নমুনা পরীক্ষা, কোভিডরোগীদের চিহ্নিতকরণ এবং চিকিৎসা শুরুর প্রক্রিয়া কার্যকরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়। এই রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে সন্দেহজনকদের চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে অত্যধিক সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচিতেও জোর দিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬৩টি জেলা “উদ্বেগের কারণ” হয়ে উঠেছে। এই জেলাগুলিতে মোট পরীক্ষা হ্রাস পাচ্ছে, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কম হচ্ছে। অন্যদিকে সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, এই ঘটনা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির জন্যও ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সরকারি ভাবে দিল্লির ৯টি, হরিয়ানার ১৫টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০টি, ওড়িশার ১০টি, হিমাচলপ্রদেশের ৯টি, উত্তরাখণ্ডের ৭টি, গোয়ার ২টি এবং চণ্ডীগড়ের ১টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ইতিমধ্যেই পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। কোভিড -১৯ নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগগুলিকে সহায়তা করার জন্যই ওই দলগুলি পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৭। যা আগের দিন ছিল ১৬ হাজার ৮৩৮ জন।
আরও পড়তে পারেন: বাড়ল অস্বস্তি! এক ধাক্কায় ১৮ হাজারের উপর দৈনিক কোভিড আক্রান্ত
দেশ
নিজস্ব শিক্ষা পর্ষদ গঠন করছে দিল্লি, বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
দিল্লির মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হল প্রস্তাব। নিজস্ব বোর্ড গঠন করে সিবিএসই বোর্ডের অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার একটি বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এ দিন বলেন, জাতীয় রাজধানীতে এ বার নিজস্ব শিক্ষা পর্ষদ থাকবে। দিল্লির মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।
কেজরিওয়াল জানান, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন করা দরকার। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বেশ কিছু স্কুল নতুন বোর্ডের অধীনে পঠনপাঠন শুরু করবে।
বর্তমানে দিল্লিতে শুধুমাত্র সিবিএসই / আইসিএসই বোর্ড রয়েছে। তবে এখন অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লিরও নিজস্ব শিক্ষা বোর্ড থাকবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এখন এ ধরনের শিক্ষা পরিকাঠামো তৈরি করা হবে যাতে পড়াশোনা করার পরে কর্মসংস্থানের জন্য চাপ না থাকে।
তিনি জানান, “আজ আমরা দিল্লির মন্ত্রীসভায় দিল্লি স্কুল অব এডুকেশন বোর্ড গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছি। এটা কোনো গৌণ বোর্ড নয়। একটি শিক্ষাবোর্ড তৈরি করার জন্য এটা দরকার ছিল। কারণ গত ছ’বছরেই আমরা প্রতিবছর দিল্লির বাজেটের প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার জন্য ব্যয় করতে শুরু করেছি। সরকারি স্কুলের জন্য ভালো বাড়ি, ভাল শ্রেণিকক্ষ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা শুরু হয়েছে”।
রাজধানীতে এক হাজার সরকাররি এবং ১,৭০০টি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। সমস্ত সরকারি এবং বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল সিবিএসই অনুমোদিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ভাবে ২০-২৫ টি সরকারি বিদ্যালয়কে নতুন রাজ্য শিক্ষা বোর্ডের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং সিবিএসই অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তবে যে স্কুলগুলিকে দিল্লির নিজস্ব শিক্ষা পর্ষদের আওতায় নিয়ে আসা হবে, সেগুলির অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে দিল্লি সরকার নিজস্ব শিক্ষা বোর্ড গঠন এবং পাঠ্যক্রম সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো প্রস্তুত করার জন্য দু’টি কমিটি গঠন করেছিল।
আরও পড়তে পারেন: মহিলা ক্ষমতায়নের পথে ২০ বছর সঙ্গী বন্ধন ব্যাঙ্ক
-
রাজ্য2 days ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
রাজ্য2 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
কলকাতা3 days ago
মোদীর ব্রিগেডের দিন কলকাতাকে ‘মমতাময়’ করতে ওয়ার্ড-প্রশাসকদের বিশেষ নির্দেশ তৃণমূলের